এম আর হাসান জেলা প্রতিনিধি খুলনা:
নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী বাইপাস মাছের ঘের থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নিহত রশিদ ঢালীর স্ত্রী ফারজানা বেগম(৩৭) বাদী হয়ে রবিবার দুপুর অজ্ঞাতদের আসামী করে খুলনা আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হত্যাকান্ডর বিষয় মুখ না খুললেও মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় সহ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখেই কাজ চলছে। নিহত রশিদ ঢালী খালিশপুর থানার একটি মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামী ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ ও একাধিক সুত্র জানাগেছে, হত্যাকান্ডর শিকার নিহত রশিদ ঢালী ছিল একজন মাদক সেবক ও ব্যবসায়ী। বিশ বছর আগে তিনি সনাতন ধর্মের মেয়েকে বিবাহ করে পরিবার থেকে সম্পুন বিছিন হয়ে যায়। পরবির্ততে তিনি মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ায় প্রয়াজনে বার বার স্থান পরিবর্তন করতেন। তার বিরুদ্ধ খালিশপুর থানার মামলার এফআইআর নং ৪৫/২২৭ তাং ২৭ ম, ২০১৮, ১৯(১) এর ৯(ক) ১৯৯০ সালর মাদক দ্রব্য নিয়্ত্রণ আইনর মামলায় বিজ্ঞ সিএমএম আদালত খুলনা গত ২০/৬/২০১৯ সালে তাকে দুই বছরের কারা দন্ড সাজা প্রদান করেন। পুলিশ বলছে গত কয়েক মাস নিহত রশিদ খালিশপুর, দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা এবং সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী থানা এলাকার যাব্দিপুর বাসা ভাড়া নেয়। চলতি মাসে যাব্দিপুরের বাসাও ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল বার বার বাসা পরিবর্তনের পেছনে মাদক ব্যবসার কারণ থাকতে পারে বলছে পুলিশ। গত ২২ অক্টৌবর শুক্রবার সন্ধ্যায় রশিদ ঢালী যাব্দিপুরের বাসা থেকে ফুলবাড়ীগেটের উদ্দেশ্য বের হয়। নিখোঁজের একদিন পর ২৩ অক্টাবর সন্ধ্যায় তেলিগাতীর বাইপাসে ইয়াসিন ফকিরের পুত্র রিপন ফকির মাছের ঘেরের মধ্য রশিদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে আড়ংঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ৪, তাং ২৪/১০/২১)। মামলার অভিযোগে জানাগেছে, ২২ অক্টাবর সন্ধ্যায় নিহত রশিদ ঢালীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে তাকে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐ দিন রাত ৮টায় রশিদ ঢালীর মোবাইলে কল করলে তিনি পরিবারকে জানায় ফুলবাড়ীগেটে আছেন। রাত সাড়ে ৮টায মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং রাত ৯টায় রশিদ ঢালীর মোবাইল নাম্বার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন দিয়ে কথা বলে পরে সিমটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে ২৩ অক্টাবর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তেলিগাতী বাইপাস থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এজাহার বলা হয়েছে ফোন করে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীরা পুর্ব শত্রুতার জের পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে রশিদ ঢালীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়ছে।
এ রিপার্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘ্টনার সাথে জড়িত কাউকেই আটক করতে পারিনি। নিহত রশিদ ঢালীর লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য ছিল। নিহতর স্বজনরা জানিয়ছেন আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে গোয়ালখালী কবর সংলগ্ন স্থানে জানাজা শেষে গোয়ালখালি কবরস্থানে দাফন করা হবে ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..