আমান উল্লাহ

আলোকিত সমাজ চাই একটি যুব ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা “শিক্ষাই শান্তি” “সেবাই মুক্তি” এই স্লোগান নিয়ে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার বলশীদ গ্রামে কয় একজন যুবকের প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতা, গরীব শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ সহযোগিতা করা, শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা বিতরণ, বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য, সমাজে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রীসহ ঈদ উপহার, খাদ্য বিতরণ, শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, খেলাধুলা, মাদক,সন্ত্রাস,বাল্যবিবাহ ও সামাজিক অপরাধবিরোধী সচেতনতামূলক সভা, শিক্ষা সফর, রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড সফলভাবে সর্ম্পন্ন করে, বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সংগঠনের একটি নিজস্ব কার্যালয়ে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার দেশি-বিদেশি বই এর সমাহারে একটি লাইব্রেরী। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সের পাঠকের উপস্থিতে লক্ষ্য করা যায়।

এই সংগঠনটির ব্যতিক্রমী একটি বৈশিষ্ট্য হলো সদস্য কিংবা উপদেষ্টা ব্যাতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের দান বা চাঁদা গ্রহণ না করে শুধুমাত্র সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহনের মাধ্যমে মানবিক ও সামাজিক নানাধরনের কর্মকান্ড ও সাহায্য সহযোগীতা করে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাজমুল হক জুয়েল বলেন- আমাদের কার্যক্রম শহরের মানুষের কাছে হাস্যকর, গ্রামের মানুষ মানুষের কাছে আজাইরা কাম আর বন্ধুবান্ধের কাছে পাগলামী। অনেকের মতে আবার প্রশংশার কাজ, তবে যে যাই বলুক, আমরা আনন্দের সাথে আমাদের সংগঠনের কাজ করে যাই। জানি ভুল আমাদের হয়, কারণ আমরা মানুষ, তাই আমরা বিশ্বাস করি কাজ করলে ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। ২০০৮ সাল থেকে আমরা আছি আমাদের সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনায় দলমত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাথে।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব মজুমদার বলেন- সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের জন্য, আমাদের আশে পাশের মানুষদের জন্য সামান্য কিছু করার মাঝে তৃপ্তি খুঁজে পাওয়ার চেতনা নিয়ে এই সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, আমাদের সংগঠনের সদস্যরা বিশ্বাস করে ভোগে সুখ নেই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ এবং দান করার জন্য ধনী হবার প্রয়োজন নেই সুন্দর ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সংগঠনটি সেবা ও মানবকল্যানমুখী কর্মকান্ডে সবসময় সক্রিয় থাকবে মর্মে আমি আশা করি।

বর্তমানে সংগঠনের পরিচালনায় কমিটিতে ১১, উপদেষ্টা ৯, এলিট সদস্য ১৩, সম্মানিত সদস্য ১৫, সাধারণ সদস্য ৪৫ জন রযেছে।

সংগঠনটি সুনিদির্ষ্ট কতগুলো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছে।

সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ হলো-

১. সংগঠনটি সর্বদা অরাজনৈতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে।

২. প্রতি উপজেলার গরীব ও মেধাবীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা।

৩. অসহায় ও দুস্থদের সার্বিক সহায়তা করা।

৪. দুরারোগ্য ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার রোগে আক্রান্ত রোগীকে সহায়তা প্রদান।

৫. সমাজে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ।

৬. যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ/মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থদের পাঁশে দাড়ানো।

৭. মাদক,সন্ত্রাস,বাল্যবিবাহ রোধসহ সামাজিক অপরাধসমূহের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করা ও খেলাধুলা ও সামাজিক কাজকর্মে ছাত্র-যুবকদের অংশগ্রহণে সাহায্য করা।

৮. বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও রক্ত দান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।

৯. বৃক্ষরোপণ, পরিছন্ন ও পরিবেশবান্ধব কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা।

১০.সংগঠনের সকল সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টি করে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা এবং কল্যাণময় সবকিছুতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা।