কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :
একমাত্র কিশোরী মেয়ে সাদিয়া আক্তার আফরিন (১৩)। সবে মাত্র ৮ম শ্রেনীতে পড়া-শোনা করছিল। বাবা-মা’র স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়েকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। কিন্তু সে স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেল বাবা-মা’র। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসার ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সাদিয়া আক্তার আফরিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানাপুলিশ। রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর চারমাথা মোড়ের অদুরে একটি বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিশোরী সাদিয়া আত্রাই উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীনের মেয়ে।
সাদিয়ার মা শিউলি পারভিন বলেন,আমার বাবার বাড়ী রাণীনগর উপজেলার দামুয়া গ্রামে। আত্রাই উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের হেলাল হোসেনের সাথে বিয়ে হয় শিউলির । বিয়ের পর একমাত্র মেয়ে সাদিয়া আক্তার আফরিন জন্ম নেয়। সাদিয়ার বাবা ঢাকায় একটি গার্মেন্টে চাকুরি করেন। পরিবারের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে ভাল পড়া-শোনা শিখিয়ে শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। সেই লক্ষেই আত্রাই থেকে রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর বাজার চার মাথা মোড়ে দুই বছর আগে বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েক বাসা সংলগ্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। মেয়ে সাদিয়া ওই স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে পড়তো। বুধবার রাতে খাবার খেয়ে মা-মেয়ে এক সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন গল্প করে রাত অনুমান সাড়ে ৯টা নাগাদ পৃথক রুমে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে ওঠে অনেক বেলা হলেও মেয়ে সাদিয়া না ওঠায় দরজা ধাক্কা-ধাক্কি করে কোন সারা শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারনে সাদিয়া আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারেনি মা শিউলি বেগম। তিনি বলছিলেন অনেক স্বপ্ন ছিল মেয়েকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার। কিন্তু সে স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেল।
রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন,বাসার রুমের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেন,কি কারনে সাদিয়ার এমন মৃত্যু হলো তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।