ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি.
ভালুকা উপজেলা প্রথম মডেল থানা। এটি ঢাকা গাজীপুরের শ্রীপুর সিমান্তে ও টাঙ্গাই সখীপুরের সিমান্ত জেলা ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা ।এ উপজেলায় অনেক গুণিজনের বসবাস ও মুক্তিযোদ্ধের বহু ইতিহাস। ভালুকা উপজেলা বর্তমান দেশের সব চেয়ে পরিচিত উপজেলা। মডেল ইউনিয়ন হিসেবে একটি ইউনিয়ন ঘোষনা হয়,যে ইউনিয়ন ব্যাপক শিল্প
কারখানা ভরপুর শিল্পাঞ্চল ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন। ভালুকায় রয়েছে পর্যটনপূর্ণ দর্শনীয় স্থান উল্লেখযোগ্য যেমন তেপান্তর সিনেমায় অভিনয়ের অন্যতম শুটিং স্পট, ও কাদিগড় জাতীয় উদ্যান,-গ্রীন অরন্য পার্ক: যেখানে শুটিং ও দর্শনীয় অনেক কিছু রয়েছে এবং শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাদুলার ব্যবস্থা পিকনিক সহ ভ্রমনপ্রীয় গ্রীন অরন্য পার্ক একবার এসে ঘুরে যেতে পারেন । প্রাকৃতিক মনমূগ্ধকর সৌন্দর্য পরিবেশ দেখে মন ভরে যায়।যে ভাবে আসবেন যে কোন যায়গা থেকে ভালুকা উপজেলা স্কয়ার মাস্টারবাড়ী অথবা সিডস্টোর বাজার নেমে গ্রীন অরন্য পার্ক যাবো যে কোন রিক্সাওয়াকে বললে হবে। গ্রীণ অরণ্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ |
ভালুকা গ্রাম ও ভালুকা বাজারকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী সময়ে ভালুকা থানা ও ভালুকা উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। ভালুকা নামকরণ বিষয়ে বেশ কয়েকটি জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। এই জনশ্রুতি গুলোর মধ্যে তিনটি জনশ্রুতিই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। এই তিনটি জনশ্রুতির একটি হলো বৃটিশ শাসন যখন বাংলাদেশে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন নীলকর সাহেবগণ তাঁদের নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে বিভিন্ন জায়গায় নীলকুঠি স্থাপন করেন। নীলকুঠি স্থাপনের পর নীলকর সাহেবগণ মাঝে মধ্যে শিকার করতে বের হতেন। শিকার করতে বের হয়ে নীলকর সাহেবগণ বনে-জঙ্গলে বাঘ, ভাল্লুক দেখতে পেতেন। এ কারণেই নীলকর সাহেবদের কাছে এই এলাকা ভল্লুক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ভল্লুক এর অপভ্রংশ হিসেবে উৎপত্তি ঘটে ভালুকা নামের। দ্বিতীয় জনশ্রুতি হচ্ছে, বর্তমান ভালুকা বাজারের দু’টি অংশ রয়েছে,এর একটি হচ্ছে পূর্ব অংশ, অন্যটি হচ্ছে পশ্চিমাংশ। পূর্ব বাজার সহ গোটা ভালুকা ছিলো ভাওয়াল পর গণার অন্তর্ভূক্ত। অবশ্য ভালুকার পশ্চিম বাজার ছিলো মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ শশী কান্ত জমিদারির আওতাভূক্ত। সে খানে জঙ্গলের ভেতর একটি মাজার ছিলো। এর খাদেম ছিলেন ওয়াহেদ আলী ফকিরের পিতা ইন্নত ফকির। মরহুম খান সাহেব আবদুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর সমসাময়িক বেশ ক’জন বিশ্বস্ত লোক মনসুর আলী খান, জয়েদ আলী ও জয়েদ খানের সহযোগিতায় ভালুকা বাজার সৃষ্টি হয়। পূর্ব বাজারে একটি কাচারী ঘর ছিলো। সেখানে ভাওয়াল রাজার নামে খাজনা আদায় করা হতো। ভাওয়ালের কাচারীর নাম হয়ে ছিলো ভাওয়ালের নাম অনুসারেই। পরবর্তী সময় বাজারসহ গ্রামের নামকরণ হয় ভালুকা। ১৯১৭ সালে গফরগাঁও থানাকে বিভক্ত করে ভালুকা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জনশ্রুতিটি হচ্ছে ভালুক চাঁদ মন্ডল ছিলেন আদিবাসী কোচ বংশের সর্দার। ভালুক চাঁদ এর নামানুসারে ভালুকা নামের সৃষ্টি হয়েছে। উথুরা ইউনিয়নে ও বর্তমান ডাকাতিয়া অঞ্চলে কোচ বংশের লোকজনের অধিবাস এখনো রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমানে কোচ বংশের লোকজন বর্মণ পদবী ধারণ করেছে। এ সব তথ্য সংগৃহিত।