![](https://i0.wp.com/surjodoy.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?ssl=1)
ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চরের কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। ফলে ইউনিয়নের সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ কৃষি জমি,পোল্ট্রি ফার্ম,গরুর ফার্ম সহ,শত শত বাড়ী ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে-সেই সঙ্গে ভাঙ্গনের কারণে উজান কাশিয়ারচর এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য বাস্তবায়ীত হওয়া ১১ কেভি বিদ্যুৎ নতুন লাইন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভাংনামারী ইউনিয়নে উজান কাশিয়ার চরের প্রায় শতাদিক একর জমি নদের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে প্রস্তুতি নেয়া হয় পূর্বে একাধিক বার। প্রচেষ্টা নেওয়া হলে ও তা কার্যকর না হওয়ায় চলতি বছরের নদের ভাঙ্গনে এলাকার নতুন বিদ্যুৎ খুটির লাইন সহ কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরিভাবে বিলীন হচ্ছে-সেই সঙ্গে অবস্থিত সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ প্রায় দুশতাধিক বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ,ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে আগে আবেদন করে ছিল-এখনো পর্যন্ত সেই তৎপরতা অব্যহত আছে,গত দু বছরে উজান কাশিয়ার চর এলাকার আব্দুর রহমানের গোদারা ঘাট থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়ী পর্যন্ত ৬ থেকে ৭শত মিটার এলাকা ভাঙ্গনের জন্য সব চেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ এবং
কেবি আই রোড থেকে সুতিয়াখালী খেচুর মোড় পর্যন্ত এল জি ইডি র রাস্তাও ভাঙ্গনের মুখে পড়বে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। উজান কাশিয়ার চর এলাকার কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তরা জানান-নদীটি বিদ্যুৎ খুটির লাইন থেকে প্রায় দুশত ফিট দূরে অবস্থিত ছিলো ভাঙ্গনের ফলে বিদ্যুত খুটি ধশে পড়া সহঅনেকগুলো বাড়ীঘর ভাঙ্গনের মুখেপড়েছে।যদিপুর্ব থেকে ভাঙ্গন ঠেকানো যেত তাহলে হয়তো বিদ্যুতের খুটি গুলো রক্ষা হতো এই দাবী এলাকাবাসীর। ইউ: চেয়ারম্যান মফিজুন নুর খোকা জানান উজান কাশিয়ার চর এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিলো বিদ্যুৎ। এই স্বপ্ন যখন বাস্তবায়ীত হতে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বিদ্যুৎ লাইনের খুটিসহ এলাকার অনেক বাড়ী ঘর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।খুটি দেয়ার আগে নদী রক্ষাবাধ দেয়া গেলে হয়তো বিদ্যুতের লাইনটি রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে জানান। বন্যায় ভাংনামারী ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকা ভাঙ্গন ধরেছে,যার ফলে ইউনিয়নের কয়টিগ্রামভেঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ, ভাঙ্গনের কারণে ঘরবাড়ী,স্কুল প্রতিষ্ঠান,পোল্ট্রি ফার্ম,গো ফার্ম সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনে গত সোমবার দিন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে,এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন আহমেদ ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান গিয়ে ছিলেন । উক্ত ইউনিয়ন ভাটীপাড়া,উজান কাশিয়ার চর, খোদাবক্সপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেনওনারা।এসময় সঙ্গে ছিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা। ভাঙ্গনঠেকাতে তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা গ্রহনকরাসহ ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply