1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
যাত্রা শুরু করলো জেড অ্যান্ড জেড ফার্মা
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

যাত্রা শুরু করলো জেড অ্যান্ড জেড ফার্মা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০, ৭.২২ পিএম
  • ৩২১ বার পঠিত
Surjodoy

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্ভেজাল ঔষধে নিরাপদ স্বাস্থ্য শ্লোগান নিয়ে রাজধানীর মগবাজার মোড়ে যাত্রা শুরু করলো নতুন ফার্মেসী জেড অ্যান্ড জেড ফার্মা। মঙ্গলবার সকালে নতুন এই ফার্মেসিটির উদ্বোধন করেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম বার পিপিএম বার। মগবাজার মোড়ে আদ দ্বীন হাসপাতালের গলির মুখে ফার্মেসিটি প্রায় বারোশো স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দৈনন্দিন ঔষধ পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়ের পাশাপাশি রয়েছে শিশুখাদ্য, মা ও শিশু সামগ্রী, প্রসাধনী ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টাল সামগ্রী। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মেহেদী হাসান বাবু জানান সব ঠিক থাকলে শিগগিরই জেড অ্যান্ড জেড ফার্মার আরো একাধিক শাখা খোলা হবে।

Surjodoy

সঙ্গে তিনি এও বলেন মূলত ভেজাল ঔষধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের ছোবল থেকে নির্ভেজাল সেবা দেয়ার অভিপ্রায়ে এই ফার্মার যাত্রা। এটি সরকারি বিধি মোতাবেক মডেল ফার্মেসি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিতা কেটে উদ্বোধনের পর ডিআইজি হাবিবুর রহমান ফার্মেসির ভেতরে প্রবেশ করে ফার্মেসিটি ঘুরে দেখেন। ফার্মেসির ইন্টেরিয়রের প্রশংসা করেন এবং সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম সিদ্দিকী ও ফার্মেসি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

One response to “যাত্রা শুরু করলো জেড অ্যান্ড জেড ফার্মা”

  1. […] নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চার যুগ পর বাবাকে খুঁজে পেলো মেয়ে। অন্যের ঘরে হয়েছেন প্রতিপালিত, বড় হয়েছেন, লেখাপড়াও করেছেন। কিন্তু তিনি জানতেনই না ওই ঘরেই তিনি দত্তক হিসাবে পালিত হয়েছেন। এর দীর্ঘ ৪৮ বছর পর তিনি খুঁজে পেলেন নিজের জন্মদাতা পিতাকে। পেলেন পিতৃ পরিচয়। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লাটেংঙ্গা গ্রামে। জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লাটেংঙ্গা গ্রামের ভগীরথ মধু ১৯৭২ সালে পাশের কোনেরভিটা গ্রামের পরিষ্কার বাড়ৈর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ১৯৭৩ সালে তার জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু সেই সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে ভগীরথের স্ত্রী পরিষ্কার বাড়ৈর মৃত্যু হয়। তিন দিন বয়সী ওই কন্যা শিশুকে বাঁচাতে চিন্তায় পড়েন ভগীরথের পরিবার। এক পর্যায়ে পাশের গ্রামের সতীশ বাড়ৈর স্ত্রী স্নেহলতা বাড়ৈর সহযোগিতায় বেতকাছিয়া গ্রামের লিও মধু ও কামিনী মধু তিন দিন বয়সী শিশুটিকে দত্তক নেয়। কিন্তু, দত্তক নিলেও নিজেদের কাছে সন্তানকে রাখেননি তারা। ওই দম্পত্তি ওই শিশুকে যশোরের পলেন সরকার নামে তার এক নিঃসন্তান আত্মীয়ের কাছে দিয়ে দেন। সংগীত পরিচালক পলেন সরকার ও তার স্ত্রী এঞ্জেলা সরকারের কোল আলো করে তাদের কাছেই বড় হতে থাকে মেয়েটি। বেদনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুটির নামও রাখা হয় বেদনা সরকার। বেদনার শৈশবকাল যশোরেই কেটেছে। পরবর্তীতে পলেন সরকার সপরিবারে ঢাকার মহাখালীতে বসবাস করেন। তার জন্ম ইতিহাস বেদনা তো জানতেনই না, পলেন সরকার আর তার স্ত্রীও ভুলে যান যে বেদনা তাদের পালিত মেয়ে। কিছুটা লেখাপড়া শেখার পর ১৫ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বরিশালের স্বপন মালাকারের সঙ্গে বেদনা সরকারের বিয়ে হয়। এই দম্পতির সংসারে লিপিকা মালাকার ও লিখন মালাকার নামে দুই সন্তান রয়েছে। এদিকে, বেদনা বিয়ের ৩০ বছর পরে ঘটনাচক্রে জানতে পারেন পলেন সরকার তার আসল পিতা নয়, ছোট অবস্থায় তাকে দত্তক নিয়েছিলেন। এই কথা শোনার পরে তার পালক মাতার ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়। এরপর থেকেই বেদনা পিতৃ পরিচয় খুঁজতে শুরু করেন। জানতে পারেন লিও মধুর নাম। এরপর প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেল বাড়ী মিশনে আসেন বেদনা। স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন, তাকে দত্তক নেওয়া লিও মধুর বাড়ি বেতকাছিয়া গ্রামে। তখন মনোহর অ্যান্ড সরোজিনী ট্রাস্টের পরিচালক প্যাস্টর মিখায়েল বাড়ৈর সহযোগিতায় লিও মধুর বাড়িতে পৌঁছান তিনি। সেখানে গিয়ে মিখায়েল বাড়ৈর মাধ্যমে তার জন্মদাতা পিতা ভগীরথ মধুর সন্ধান পান বেদনা সরকার। গত ২ আগস্ট নিজ জন্মদাতা পিতার কাছে পৌঁছান বেদনা সরকার। লাটেংঙ্গা গ্রামে ৪৮ বছর পর তখন আবেগঘন দৃশ্য! জন্মদাতা পিতাকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে বেদনা সরকারের কান্না, পরিচয় পাওয়ায় বাবা-মেয়ে দু’জনেই তখন আবেগে আপ্লুত। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বেদনা সরকার বলেন, আমার পালিত বাবা-মা পলেন সরকার ও এঞ্জেলা সরকার আমাকে তাদের নিজেদের মেয়ের মতোই আদর যত্নে বড় করেছেন। তারা কোনোদিনও আমাকে বুঝতে দেননি আমি তাদের পালিত মেয়ে। তবে দীর্ঘকাল পরে যখন আমার আপন পরিবার পেয়েছি, এখন সবাইকে নিয়েই আমি সুখে থাকতে চাই। আমি আমার পিতৃ পরিচয় খুঁজে পেয়েছি এটাই আমার কাছে বড় আনন্দের। বেদনার জন্মদাতা পিতা ভগীরথ মধু তার মেয়েকে কাছে পেয়ে আনন্দে কী বলবেন সে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তবে তিনি খুশি, ভীষণ খুশি। তবে এতকাল মেয়ের খোঁজ না নেওয়ার জন্য মেয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। করোনাকালেও এমন সংবাদ পেয়ে পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বেদনা সরকার ও তার পরিবারকে দেখতে ভগীরথ মধুর বাড়িতে ভিড় জমায় মানুষ। […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews