লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় অনুমোধন ছাড়াই খাল খনন করে বিধবা ছালেহা বেগমের বসত বাড়ির জমি ও গাছপালা নষ্ট করে পানি নিষ্কাশনের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা আজাদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন মতিনের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ৩০টি পরিবার।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তর চর কালকিনি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী বিধবা ছালেহা বেগম জানান, রাতের অন্ধকারে কিছু বুঝার আগেই কানকিনি ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন মতিন ও যুবলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শত ভায়াটিয়া বাহিনী নিয়ে আমার বসত ভূমির গাছপালা, আড়া-বেড়া কেটে অনুমোধন চাড়াই ইচ্ছে মতো খাল খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে। এতে আমার ৬০ শতাংশ ফসলি জমির ক্ষতি সাধন হয়।তখন আমি ভয়ভীতিতে আতংকে ছিলাম। পরের দিন বুধবার স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে দেনদরবার করেও বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধা বলেন, আজাদ ও মতিনের নেতৃত্বে ১০০ জনের মতো ভায়াটিয়া লোকজন এনে জোর পূর্বক আমাদের ২০ থেকে ত৩০ জনের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমির ক্ষয় ক্ষতি করে খাল খনন করে। আড়া-বেড়া, বাড়ি, ঘর-দরজা কেটে আমার জমির ক্ষতি করে । টাকা পয়সাও দাবি করেছে তারা। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় রাতের অন্ধকারে জবরদস্তি করে অন্যের জমি দখল করে খাল খনন করে পানি নিষ্কাশন করেছে। এটা তো সরকারি খাল নয়, কখনো সরকারি খাল ছিলও না।স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী তাদের সার্থ উদ্ধারের জন্য এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বিদ্যালয়ের পিয়ন মতিন বলেন, আমি পুকুর খননের দলবল নিয়ে কোনো কাজ করিনি।তবে ঘটনার স্থানে আমি উপস্থিত ছিলাম।ছালেহা বেগম আমার আত্মীয় হয়।আমি তাদের ক্ষতি করবো কেনো?
জেলা যুবলীগের সদস্য দাবি করে আজাদ বলেন, কৃষকদের ফসল পানির নিছে ডুবে যায় কৃষকদের উপকার সার্থে খাল খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।
চর কালকিনির ইউপি সদস্য আবদুল খালেক বলেন, কারা খাল খনন করে পানি নিষ্কাশন করেছে তা আমার জানা নেই। যাদের জমি খনন করেছে তারাও আমার কাছে কোনো অভিযোগ করে নাই