রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
নিয়মিত দুধ পানে শারীরিক বৃদ্ধি মানসিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুধের উপকারিতা অনেক। ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত গাভীর দুধ পান করানো হলে তাদের মেধা বিকাশ বৃদ্ধি পায়। আগামী দিনে তারা সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠে। রংপুর অঞ্চলে দুধের ব্যাপক উৎপাদন হয়। ঘরে ঘরে রয়েছে দুধ উৎপাদনের গাভীর খামার। গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড নুরপুর এলাকায় রংপুর জেলা ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশনের সহযোগীতায় এবং রংপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ-এর আয়োজনে রংপুর মহানগর দুগ্ধ উৎপাদনকারী দলের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা ও বিভাগীয় ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: লতিফুর রহমান মিলনের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এলডিডিপি প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. গোলাম রব্বানী, রংপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এ.এস.এম সাদেকুর রহমান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফও এর প্রতিনিধি সালেহ উজ-জামান, আরলা মার্কেটিং প্রতিনিধি আইরিন, রংপুর জেলা ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: পলাশ, নারী খামারী রোকসানা বেগম, আনোয়ারা বেগম, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: মকবুল হোসেন দুলাল, ৩২নং ওয়ার্ড ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ। বক্তারা স্কুল ফিডিং এর পরিবর্তে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। সে সাথে রংপুর অঞ্চলের বেকারত্ব দূরীকরণে নারী-পুরুষের গড়া সকল খামারীদের সরকারি আর্থিক, কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সাহায্য দাবী জানান। খামারীরা মতবিনিময় সভায় তাদের খামার পরিচালনায় নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সকল সমস্যাজনিত কারণে রংপুর অঞ্চলের খামারীরা লাভজনক খামার হিসাবে গড়ে উঠাতে পারছে না। এ সকল সমস্যা উত্তরণে তারা প্রধানমন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সে সাথে দেশে দুগ্ধ বোর্ড গঠনের দাবী জানান।