রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকার গাইনী চিকিসক অপহৃত হবার ২১ মাস পর ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাকে উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অপহরনকারীকে।
মঙ্গলবার নগরীর কেরানী পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানান রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার জানান গত বছরের মার্চ্চ মাসে রংপুর নগরীর ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরের মেয়ে গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আয়েশা ছিদ্দিকা মিতু (৩৪) অপহৃত হয়েছে তার বাবা রংপুরের কোতয়ালী থানায় একটি অপহরনের মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন নগরীর আলমনগর কলোনীর নাপিত রফিকুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি তার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পুলিশ চেষ্টা করেও অপহৃত চিকিৎসক ডাঃমিতুকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে দেয়া হয়। সিআইডি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইউনুছ দীর্ঘ দিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ডা, মিতুকে সোমবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চানমিয়া হাউজিং এর একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে। অপহরনকারী বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।
সিআইডির পুলিশ সুপার জানান গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মিতু এর আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাপ্পির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার আগের স্বামীর ঘরের একটি পুত্র সন্তান এবং বাপ্পির ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। তারা অনেক দিন আগেই বিয়ে করে সংসার করে আসছিলো বলে সিআইডিকে জানায়। যেহেতু অপহরন মামলা হয়েছে সে কারনে তাদের উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিআইডি পুলিশ সুপার জানান চিকিৎসক মিতুর সাথে ৮/৯ বছর ধরে বাপ্পির সাথে প্রেমের সম্পর্ক এর আগেও একবার তারা দুজনে পালিয়ে গিয়েছিলো। অনেক বুঝিয়ে তাকে বাড়িতে আনা হলেও আবারো তারা পালিয়ে যায়। অপহৃত বাপ্পি পেশায় নাপিত হলেও সে মিতুর বাবার ব্যবসায় ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতো। দীর্ঘ ২১ মাস যাবৎ গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদপুরে চেম্বার দিয়ে সেখানে রোগী দেখতো। সে যা রোজগার করতো তাই দিয়ে বাসা ভাড়া সহ তাদের সংসার খরচ চলতো বলে মিতু জানিয়েছে। এ ছাড়াও ডা, মিতু জানিয়েছে বাপ্পির সাথে ২১ মাস বিবাহিত জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছে তারা সুখেই আছে। বরং তার বাবা তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলে দাবি করেছে ডাঃ, মিতু