রংপুর ব্যুরো:
রংপুর মহানগরীর ৩০নং ওয়ার্ড নাছনিয়া আমবাড়ী এলাকার মৃত: আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হাছনে আরা এবং তার দুই কন্যা রশিদা ও রাশিদা গত ২০১০ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে মৌখিক বাটোয়ারার মাধ্যমে ৯১ শতাংশ সম্পত্তির মালিক হন। তৎকালীন সময় রাষ্ট্রীয় বিধি মোতাবেক সেই সম্পত্তি সমসাময়িক বাজার দর অনুযায়ী ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে হাছনে আরা এবং তার দুই কন্যা রশিদা ও রাশিদা বিক্রি করে দেন আব্দুস সালাম মাস্টারের নিকট।
দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বর্তমান মালিক আব্দুস সালাম মাস্টার উক্ত জমি ভূমি আইনানুযায়ী খাজনা ও খারিজ করে ভোগ দখল করে আসছে। ইতোমধ্যে আব্দুস সালাম মাস্টার মারা যাওয়ার পর কিছুদিন ধরে হাছনে আরা গং উক্ত জমির উপর নিজ মালিকানা দাবী করছে এবং বিভিন্নভাবে মৃত: সালাম মাস্টারের স্ত্রী রওশন আরা বেগম ও তার পরিবারের নিকট জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, ভাড়াটে লোকজনের মাধ্যমে ও জামাতা দিদারের কুটকৌশলে রওশন আরা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রাণ নাশের হুমকীসহ মিথ্যা মামলা আনয়ন করে হেনস্তা করার কাজে লিপ্ত আছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাছনে আরা, তার দুই কন্যা ও ছোট মেয়ের স্বামী সকলেই মামলাবাজ ব্যক্তি বটে।তারা এলাকায় সন্ত্রাস ও অশান্তি সৃষ্টি করেই চলেছে।তারা এলাকায় সামাজিকভাবে কারো সাথে মিলেমিশে চলতে পারে না।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত জমি বাজারমূল্যে ক্রয় করেছেন সালাম মাস্টার এবং আমরা এলাকাবাসী স্বাক্ষী হিসেবে আপনাদের জানাচ্ছি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হাছনে আরার জামাতা ছোট মেয়ে রশিদার স্বামী দিদারের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্যই আজকে, আমাদের সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম সালাম মাস্টারের মতো একজন গুণীব্যক্তির মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ও এতিম ছেলেটার প্রতি চরম অন্যায় অবিচার করছে। সালাম মাস্টার মারা গেছেন আজ প্রায় ৯ বছর। খুব অল্প বয়সেই চলে গেছেন লোকটা, মৃত্যু ব্যক্তির নামে মিথ্যা বলা উচিৎ নয়, তবে তিনি অল্প বয়সেই মানুষের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য যা করেছেন সেটা অবশ্যই প্রসংশার দাবী রাখে।
কিন্তু তার হঠাৎ চলে যাওয়াকে পুঁজি করে, জমি বিক্রেতাগণ একটি কুচক্রী মহলের কুপরামর্শে আজ তার পরিবারের প্রতি অনৈতিক আচরণ করছে। মরহুম আ: সালাম মাস্টারকে আমাদের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানেন। হাছনে আরার জামাতা দিদার এই এলাকার একজন চিহ্নিত বখাটে এবং মামলাবাজ। শৈশবকাল থেকেই বেশ বেপরোয়া জীবন যাপন করে এই দিদার, তার অপতৎপরতার আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি তার জন্মদাতা মা-বাবা এবং আপন বড় ভাই বাশার ও তালেব।
বর্তমানে এই দিদারের কালো থাবায় উক্ত পরিবারটি চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে, কোন সময় কোন মামলা হচ্ছে এই পরিবারটির বিরুদ্ধে কেউ বলতে পারছে না। এলাকাবাসী হতবাক, দিদারের এই কর্মকান্ডে। এলাকাবাসী চায় এই মামলাবাজ দিদারের হাত থেকে ওই পরিবারটির উপর যেন এ ধরনের মিথ্যা মামলা না হয়, এবং অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে আসুক এবং ওই পরিবারের যাবতীয় মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর বেআইনি হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক।