রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয়টি থানায় ভারী অস্ত্র তাক করে নিরাপত্তা জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হেফাজতের হুমকি, করোনার সংক্রমণরোধ, মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে রংপুর মহানগর পুলিশ।
যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে নগর জুড়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কড়া নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিশেষ শাখা কাজ করছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আবু মারুফ হোসেন জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র ও মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদের নির্দেশনায় বলা হয়েছে চরম নৃশংসতার মধ্য দিয়ে উত্থান হওয়া ‘হেফাজতে ইসলাম’ জননিরাপত্তার জন্য এখন অনেকটাই হুমকি।
এছাড়া পবিত্র রমজানে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ছয় থানায় বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। বিদেশি নাগরিক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় নিয়েই বিশেষ ছক করা হয়েছে। অপরাধীর খোঁজে নগর জুড়ে ওঁত পেতে আছে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী।
নগরীর অপরাধ প্রবণ এলাকাগুলোয় সতর্ক নজরদারি রাখার পাশাপাশি চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসীদের ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। নগরীর ৫৭টি পয়েন্টে উচ্চ রেজ্যুলেশনের সিসি টিভি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই তৎপরতায় এবার রমজানে নগরীতে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ইভটিজিং ও রাহাজানিসহ সব বিষয়ে মনিটরিং করা হবে। গোয়েন্দা তৎপরতার সঙ্গে ঈদ সামনে রেখে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা এলাকাকে সুরক্ষার আওতায় নেওয়া হয়েছে। ভারী অস্ত্রে জোন ভাগ করে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা। প্রধান গেট বন্ধ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ মানুষকে দেয়া হচ্ছে সেবা।