রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন সিন্ডিকেট থাকবে না। আমরা হাসপাতাল সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক কিছু জেনেছি। কিছু অব্যবস্থাপনা দূর করতে এখানে পরিচালক, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে। যারা সেবা দিতে পারবে না কিংবা হাসপাতালের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করবে আমরা তাদের হাসপাতালে রাখবো না। এখানে মানুষ যেন তাদের কাঙ্খিত সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীতে ১’শ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রংপুর হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের এলাকা। তাই রংপুরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের বিশেষ নজর রয়েছে। আমরাও চাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভাল চলুক, এখানে মানুষ ভাল সেবা পাক। এ হাসপাতালে এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে, এরপরেও কেন মানুষ সেবা পাবে না তা খতিয়ে দেখতে আমি হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন করবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দু’বছর আগেই ১’শ শয্যার এ শিশু হাসপাতালের কাজ শেষ হয়েছিল। পরবর্তীতে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লে সেটিতে করোনা হাসপাতাল করা হয়। দেশে করোনার প্রকোপ এখন নেই বললেই চলে। তাই এ হাসপাতালটি শিশু হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো। এখানে ১৫ শয্যার আইসিইউ, সিসিইউ রয়েছে। ৭০ থেকে ৮০টি শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে দ্রæত জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এ হাসপাতালে রংপুর বিভাগ ও আশপাশের জেলার মা ও শিশুরা চিকিৎসা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। ফলে মা ও শিশুদের চিকিৎসা দেয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে জেলা পর্যায়েও ছোট আকারে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, সিভিল সার্জন ডাঃ শামীম আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের আহŸায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
এরপর মন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নির্মাণাধীন ক্যান্সার, কিডনী ও বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।