সোমবার (২৯ জুন) পৃথক শোকবার্তায় এ মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা।
এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
এরআগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন। আরও অনেক নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন ওই লঞ্চে। এরমধ্যে নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় ৭০ জন। তা থেকে এ পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ কাঠপট্টি থেকে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকায় আসছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কুমিল্লা ডক এরিয়ায় ময়ূরী-২ লঞ্চ পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ঢাকাগামী ‘মর্নিং বার্ড’। ‘ময়ূরী’নামে আরেক লঞ্চের ধাক্কায় যানটি ডুবে যায় মুহূর্তেই।