
বাবু চৌধুরী -বিশেষ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-দোহাজারী-চট্রগ্রাম রেল লাইনে ডেমু ট্রেন উদ্বোধন করতে পূর্বের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি শনিবার দুপুর ১:৩০ মিনিট সময়ে পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে মন্ত্রীর আগমনে পূর্বে থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য পটিয়া ১২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি রেল স্টেশনের গেইটের সমনে শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন, যখন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসে পৌছাল, `রেলমন্ত্রীকে, হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং সাথে সাথেই পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা তারিক রহমান রেলমন্ত্রী কে ফুলদিয়ে বরণ করেন, এরপর একে একে নেতা কর্মীরা রেলমন্ত্রী কে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
অনুষ্ঠানে `রেলমন্ত্রী প্রদান অতিথির বক্তব্য’ই বলেন, রেলের জায়গার ওপর কোন ধরণের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে যত বড় প্রভাবশালী হউক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় রেলমন্ত্রী পটিয়ার উন্নয়নের জন্য হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি’র ভূয়সী প্রশংসা করেন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এম পি (চট্টগ্রাম -১২), সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমদ এমপি (চট্টগ্রাম -৮), সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি (চট্টগ্রাম -১৪), তারিকুল ইসলাম (সার্কেল পটিয়া), হাবিবুল হাসান -উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,
আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী -চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, মোঃ সারদার আলী – অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন বাংলাদেশ রেলওয়ে, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন -ব্যাবস্থাপক (পূর্ব) বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রসঙ্গঃ রেলমন্ত্রী পটিয়া স্টেশনে আসার পূর্বেই পুরো রেল স্টেশন দখলমূক্ত করা হলেও রেলমন্ত্রী চলে যাওয়ার ১ ঘন্টা’র মধ্যে স্টেশন মাস্টার ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে পটিয়া রেল স্টেশনের আশ-পাশের জায়গা অবৈধভাবে পুনরায় দখলে নেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান স্টেশন মাস্টারের নির্দেশ ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফের দখলে নিয়েছে।
রেলমন্ত্রী এর আগে শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিট সময়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে এক জোড়া ডেমু ট্রেন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। `প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, যারা রেলওয়ের জায়গা পিতৃহীন মনে করে লুটেপুটে অনেকেই খাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা সাবধান হয়ে যান, `মন্ত্রী আরও একবার উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে’ই বলেন, বিএনপি সরকারের শাসন আমলে রেলওয়ে অভিভাবক হারা হয়েছিল কিন্তু আপনারা ভুলে যাবেন না, বর্তমান সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রেলওয়ের মা-বাবা আছে। রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নিমাণ করে টাকা কামাবেন তা ভুলে যান। তিনি তার বক্তব্য’ই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখল নিয়ে রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তাও জড়িত আছেন, সে রকম অভিযোগ আমার কাছে আছে, অতি শীঘ্রই আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
সরে-জমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া রেল স্টেশনে মন্ত্রী আসার (১) দিন আগেই থেকে রেলওয়ের জায়গার ওপর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে বিলীন করে দেন রেলওয়ে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উদ্বোধনের পর পুনরায় তা দখল করে নেই দখলদাররা। তাদের দখল কাজে সহযোগিতা করেন স্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া রেল স্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম ও সহকারী স্টেশন মাষ্টার, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখলে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কার সহযোগীতায় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া অবৈধ স্থাপনা গুলো পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হতভম্ব হয়ে দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি বাবু চৌধুরী কে স্টেশন মাষ্টার বলেন, সেটা আমি বলতে পারব না, কেন বলতে পারবেন না জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন আমি পটিয়ায় এসেছি মাত্র আড়াই মাস হচ্ছে, এরিমধ্যে আমার শরীরের অসুস্থতার জন্য এক মাসের ও বেশি সময়দরে অফিস করতে পারিনাই, তবে রেলমন্ত্রী মহোদয় চলে যাওয়ার সাথে সাথে কার ইশারায় দখল নিয়েছে, উত্তরে স্টেশন মাষ্টার বলেন, আমি সেটা বলতে পারব না, আমি বললে আমার সমস্যা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply