1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
রোহিঙ্গা গণহত্যায় আরও দুই সেনার স্বীকারোক্তি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি

রোহিঙ্গা গণহত্যায় আরও দুই সেনার স্বীকারোক্তি

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০.৫০ এএম
  • ২১১ বার পঠিত

ডেস্ক: রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিয়েছে আরও দুই সেনা সদস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুই সেনার আলোচিত জবানবন্দি প্রকাশের পর পাওয়া গেছে নতুন ভিডিও ফুটেজ।

যাতে আগের দু’জনসহ একসঙ্গে চার সেনা সদস্যকে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিতে দেখা যায়। এক সেনা সদস্য তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা বলতেন, এই দেশে ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সবাই দাস।

জানা গেছে, নতুন দুই সেনা সদস্যও জবানবন্দি দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। তারা হলেন- চ্যাও মিও অং এবং পার তাও নি। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন জ নাইং তুন ও মায়ো উইন তুন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যার জবানবন্দি দিয়ে গেল সপ্তাহে অনেকটা চমক হয়ে দৃশ্যপটে আসেন তারা। তুলে ধরেন রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিস্তারিত বিবরণ।

এবার রাখাইনে দায়িত্ব পালন করা অপর দুই সৈনিক চ্যাও মিও অং ও পার তাও নি মুখ খুলেছেন নিজ দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। জ নাইং ও মায়ো উইনের সঙ্গে একসঙ্গে ভিডিওতে স্বীকারোক্তি দেন তারা।

চ্যাও মিও অং বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়েছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর মধ্যে জাতিগতভাবে বৈষম্য করা হয়। অনেক কর্মকর্তা মাদকাসক্ত। মাদকে পৃষ্ঠপোষকতাও রয়েছে তাদের।

পার তাও নি বলেন, তারা আমাদের (সেনা কর্মকর্তারা) বলতেন ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সবাই দাস। তাদের সঙ্গে সে হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে সেনাবাহিনী।

এর আগে স্বীকারোক্তিতে মায়ো উইন তুন বলেছেন, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে তিনি ও তার ব্যাটালিয়নকে পাঠানো হয়েছিল সেখানকার কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানোর জন্য।

তিনি ৩০ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের মরদেহ গণকবর খুঁড়ে পুঁতে দেন। একজন নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।

আরেক সেনা সদস্য জ নাইং তুন বলেছেন, তার ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এ পথে যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করেছে। এই দু’জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, তারা উভয়ে প্রায় ১৮০ রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই চার সেনার মধ্যে দুজন আছেন হেগের অপরাধ আদালতের জিম্মায়। বাকি দু’জনও আদালতে জবানবন্দি দেবেন বলে জানা গেছে। গণহত্যার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে পারেন এই সেনারা- এমন মত মানবাধিকার কর্মীদের।

ফোর্টিফাই রাইটসের সিও মাথিউ স্মিথ বলেন, এই প্রথম তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যকার কারও কাছ থেকে গণহত্যার খবর আমরা পাচ্ছি।

তাদের কথায় স্পষ্ট, রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েই অভিযানে নেমেছিল মিয়ানমার সেনাবাহনী। বিচারের প্রক্রিয়ায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই চারজনের বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করে রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

সাবেক সেনাসদস্যের এই স্বীকারোক্তির ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে চাপে ফেলেছে মিয়ানমারকে। বিশেষ করে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির অবস্থানকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

কারণ জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় তিনি সশরীর হাজির হয়ে নিজের দেশের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ কারণে রোহিঙ্গা গণহত্যার এই স্বীকারোক্তিকে আমলে নিয়ে মিয়ানমারের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।

তবে প্রথম দুই সেনাসদস্য স্বীকারোক্তি দেয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন দায় ঢাকার চেষ্টায় নেমেছে। তারা বলেছে, ওই দুই সেনাসদস্যের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বিবিসি বার্মিজকে বুধবার বলেন, মায়ো উইন তুন এবং জ নাইং তুন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য। আরাকান আর্মি তাদের বন্দি করে হুমকিধমকি ও নির্যাতন করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews