আব্দুল্লাহ্ আল নোমান শুভ, চট্টগ্রামঃ
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার ছোটধুরুং এলাকা থেকে লক্ষীছড়ি বনবিভাগ কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, যে, গহীন পাহাড়ি এলাকার সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, গভীর রাতে পাহাড়ি সেগুন কাঠ পাচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গহীন অরণ্যনে থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ অবৈধ ভাবে পাচারের উদ্দেশ্য কাটা হচ্ছে এমন সংবাদ ভিত্তিতে সাথে সাথে লক্ষীছড়ি বনবিভাগ ও লক্ষ্মীছড়ি জেনারেল সাহায্য চেয়ে একটি আভিযানিক দল গিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঠ উদ্ধার করে।
বনবিভাগ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক টিসিগাড়ী সেগুন কাঠের টুকরা উদ্ধার করা হয়। যার আনমানিক মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
পরে উদ্ধারকৃত কাঠ- বনবিভাগের ষ্টোক করা হয়। এই সকল অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের অর্থের মূল যোগানদাতা বলে দাবী করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারী ফটিকছড়ির মোঃ বাবর ও গহিরা মন্নান এইসব অবৈধ ব্যবসা পরিচারনা করেন। র্পামিটের নামে ইস্যু সামছুন নাহার, স্বামী- শাহাদাৎ আলী শেখ,২২০নং মৌজা,
হোল্ডিং-১০৯ ফারমিট ইস্যু নং-৫৫।
শাজাহান,পিতা- শাহাদাৎ আলী শেখ, ২২০নং মৌজা, হোল্ডিং-১৫৮ র্পামিট ইস্যু নং-৪২
শাজাহান,পিতা- শাহাদাৎ আলী শেখ, ২২০নং মৌজা, হোল্ডিং-১১৭ ফারমিট ইস্যু নং-৯৩
উল্লেখিত এইসব হোল্ডিং এমনকি অনেক হোল্ডিং সৃজিত ভরপুর আম বাগান,কোন- কোন বাগানে গাছে নাই এমন ভুয়া কাগজ পত্র হোল্ডিং উল্লেখ করে র্পারমিট অনুমোদন করে আনেন একটি অসাধু।
সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাছ কেটে সংগ্রহ করে অনুমোদনের নামে এইসব ফারমিটের গাছ কর্তন করে চালিয়ে যাচ্ছে একটি কাঠ খেকু চক্র।
এই বিষয় ফটিকছড়ি বাবর জানান আমার কোন গাছ আটক হয় নাই। আমি সরকারী অনুমোদিত ফারমিট ব্যবসা করি। আমার প্রতিপক্ষ ব্যাবসায়ীরা আমার নাম উল্লেখ করে আমার ব্যবসায়ীক ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছে।
ব্যবসায়ী মান্নান এই ব্যাপারে বলেন আমার কোন গাছ আটক হয় নাই। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে।
এই বিষয়ে লক্ষীছড়ি বনকেন্দ্রের ভাপ্রাপ্ত অফিসার সাইফুল ইসলাম দেওয়ান বলেন
এটিই এই এলাকায় স্মরণকালে জব্দকৃত সবচেয়ে বড় চালান। ভবিষ্যতে পাহাড়ের এই ধরনের অবৈধ বনজ সম্পদ পাচার বন্ধ করতে আমাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।