নাজমুন নাজনীন লাকী একজন মহিলা সংবাদ কর্মী।প্রতিদিনের মতো ভোর হলেই সংবাদ সংগ্রহের জন্যে ছুটে যান বিভিন্ন প্রান্তে।এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৮মার্চ)সকালে লক্ষ্মীপুর রামগতিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্যে বের হন নাজনীন ও তার সহকর্মী সোহেল।

রবিবার (৮ মার্চ) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টায় রামগতি থেকে  সংবাদ সংগ্রহ করার মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর সদরে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ঐ নারী সংবাদ কর্মী তার সহকর্মী সোহলে ।এতে তার মাথায় ও পায়ে গুরুতরভাবে জখম হয় এবং তার সহকর্মী সোহেলের হাতে মারাত্মকভাবে জখম হয়।পরে স্থানীয়রা তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।একপর্যায়ে তার সহকর্মী সোহেলের অবস্থার উন্নতি হলে ঘরোয়া চিকিৎসা নেন সোহেল।

আহত ঐ নারী সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্যে লক্ষ্মীপুর জেলার সাংবাদিকদের একটি দল ছুটে যান,সদর হাসপাতালে।
পরে ঢাকা থেকে বিএমএসএফ এর সভাপতি আহমেদ আবু জাফর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন।

জানা যায়,নাজমুন নাজনীন লাকী দীর্ঘ দিন যাবত এ সংবাদিক পেশায় রয়েছেন।তিনি দৈনিক স্বাধীন বাংলার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।ঘটনার দিন সকালে মোটরসাইকেল যোগে সংবাদ সংগ্রহের জন্যে রামগতিতে ছুটে যান সোহেল ও নাজনীন।সংবাদ সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করার  পর লক্ষ্মীপুর সদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।মাঝপথে হঠাৎ গাছের গুড়ি এসে পড়লে মোটরসাইকেল ছিটকে পড়ে যান নাজনীন ও তার সহকর্মী।এতে মারাত্মকভাবে জখম হয় উভয়ই।

উল্লেখ্য, দেশে পুরুষ সাংবাদিকের পাশাপাশি নারী সাংবাদিকরাও এগিয়ে রয়েছে।তবে সংখ্যায় বেশি নয়।বর্তমানে সময়ে মফস্বলে নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা খুবই সংকীর্ণ পর্যায়ে।নানা বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে নারীরা এ পেশায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।