রফিকুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শিশু শ্রম একটি দণ্ডনীয় অপরাধ ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের আইন থাকলেও দেশের কোন খাতে কত শিশুশ্রমিক কাজ করছে তার সঠিক কোন হিসাব বা পরিসংখ্যান নেই।
তেমনি ভাবে যশোরের শার্শা উপজেলায় ব্যাপক ভাবে বেঁড়েছে শিশু শ্রম. বিভিন্ন পেশায় ঝুকে পড়েছে তারা। মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রণে শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেঁড়েছে শিশুশ্রম. সার্বক্ষণিক বাড়িতে থাকায় নিজেদের খরচ চালাতে যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন পেশায় এমনটি ধারণা করছেন সচেতন অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসী।
তথ্যমতে, গত দুই দশকের মধ্যে করোনা মহামারীর সময়ে শিশুশ্রম অধিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আরও লাখ লাখ শিশু-কিশোর একই ভাগ্য বরণ করার ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের শুরুতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিলো ১৬ কোটিতে। চার বছরে শিশু শ্রমিক বেড়েছে ৮৪ লাখ। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে থেকেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
অথচ ২০০০ ও ২০১৬ সালের মধ্যে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমে ৯ কোটি ৪০ লাখে নেমে এসেছিল। বর্তমানে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৭ কোটিতে পৌঁছেছে. দুই দশকে এটাই প্রথম বৃদ্ধি।
শিশুশ্রম ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের আলাদা আলাদা সংজ্ঞাও রয়েছে।
১৮তম শ্রম পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং ২০১৩-এর সংশোধন অনুসারে কর্মরত শিশু বলতে বোঝায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে এ শ্রম অনুমোদনযোগ্য।
তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোনও শিশু যদি কোনো ধরনের ঝুঁকিহীন কাজ করে তবে সেটাও শিশুশ্রম হবে। তারাও কর্মরত শিশুর সংজ্ঞায় পড়ে। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম হিসেবে বিবেচিত হবে.
করোনা ভাইরাসের কারণে শিশুশ্রম বেড়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। নিজেদের খরচ জোগাতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছেন তারা সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখাযায়.মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা দ্রুত জড়িয়ে পড়ে শিশুশ্রমে.পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে ও পরিবারের চাহিদা মেটাতে তাদের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ব্যর্থ হয় পরিবার।
বিভিন্ন কৃষিক্ষেতে দোকানপাটে ও হোঠেল রেস্টুরেন্টে.এমনকি ভ্যান ও বাইক এবং ইটভাটাতেও ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করতে দেখা যায় তাদের।এভাবে শিশুরা শ্রম দিতে থাকলে ভবিষ্যতে সমাজে নিরক্ষরতারহার বেড়ে যাবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও.শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে. আবারও শিশুশ্রম কমে আসবে বলে মনে করেন সচেতন অভিভাবক মহল ও সুধী সমাজ।