বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার উত্তর মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ নিয়মিত স্কুলে না আসার প্রতিবাদে ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ওই বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ
দুই শতাধিক নাগরিক বুধবার বিকালে এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন পান্নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জলিলুর রহমান খান,৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল হাওলাদার,৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহ্ আলম,অভিভাবক মোঃ রাসেল ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উত্তর মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছেন । তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিলুর রহমান খান বলেন, গত বুধবার বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরেও জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি। এছাড়াও ওই জাতীয় পতাকাটির রঙও ফ্যাকাশে হয়ে গেছে বিষয়টি দৃষ্টিকটুর।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের খেলার মাঠে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেছেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কোন সময় শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে দুর্ঘটনার ঘটতে পারে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার নেতৃত্বে কিছু দিন পূর্বে লোকজন নিয়া রাতে বিদ্যালয়ে বনভোজন করেন। আমি ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে । তবে বনভোজন করার পূর্বে আমাকে অবগত করা হয়নি।
জানাতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দুর্ব্যবহারের বিষয় সত্য নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একান্ত কথা বলে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) রনজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কিছু দিন পূর্বে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ের বিরধ সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপর অভিযোগ তদন্ত-পূর্বক সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।