কাইয়ুম মাহমুদ
চলনবিলের সলঙ্গায় বছরের পর বছর সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত কাল শুরু হলে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত হলুদ চাঁদরের সরিষা ক্ষেতে আবৃত হয় সলঙ্গায় । উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার বিভিন্ন গ্রামে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে সরিষা আবাদ। সঠিক উদ্যোগ, প্রচারণা এবং কৃষি বিভাগের তৎপরতায় প্রত্যাশার তুলনায় আশানুরুপ বৃদ্ধি পাচ্ছে সরিষা আবাদ। প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ উপযোগী সরিষা ফলনের ব্যাপক মাঠ রয়েছে সলঙ্গায় । সমতল থেকে ঢালুসহ মধ্যবর্তি বিস্তীর্ণ জনপদে সহজ ফলন নিয়মের প্রচারনা পেলেই পতিত জমিগুলো ভরে উঠতে পারে হলুদের উৎসবে।
ইতোমধ্যে অনেক গ্রামে সবুজ, বেগুনী, সাদা, সোনালী নানা মৌসুমী ফলনের পাশাপাশি হলুদের হাঁসি যেন অন্য সকল সুন্দরকে হার মানিয়ে মাঠজুড়ে আলোর হাঁসি হয়ে উঠেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, উপজেলার সলঙ্গা, বাসুদেবকোল, হাবিবপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গাতে প্রচুর সরিষা চাষ হচ্ছে।
তিনি জানান নতুন পুরাতন সহ বেশ কয়েক জাতের সরিষায় তেলের পরিমান বেশী বিধায় আধুনিক জাতের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বেশী।
হাবিবপুর, বাশিদেবকোল, চরিয়া শিকার, সংলগ্ন অনেক জমিতেই এখন বেড়েছে সরিষার চাষ। ঠিক এই সময়ে মাঠে ঘাটে সরিষা ফোটার ধুম পড়েছে। এখানকার মাঠগুলো এখনো মাঠ জুড়ে সরিষা আবাদ না হলে ও যেই মাঠেই সরিষা ফুটেছে, সেই মাঠই যেন সরিষার হাঁসিতে কৃষকদের ও হাসি লেগে থাকে। হলুদের চাঁদরে গাড় সোনালী আভায় গোাঁ প্রান্তর হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত আলোকময়। সেলফি তুলতে ধুম লেগেছে সরিষা ক্ষেতে।
সরেজমিনে বাশিদেবকোল এলাকায় গেলে সরিষা ক্ষেত সোনালী আলোতে ঝলমল করছে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে এবছর উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা মানুষেরা সরিষা আবাদে কৃষি অফিসের তদারকি ও কৃষকের ঘামঝরা পরিশ্রমে ফসল ঘরে উঠুক সে কামনা সকলের।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..