কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সরকারের লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে বলছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনাতো নিয়ন্ত্রনে নেই বরং ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। দেখা দিয়েছে মহামারী আকারে। ঢাকাতে যে ব্যাপক মাত্রায় বিস্তার লাভ করেছিল তা এখন মফস্বল ও জেলা শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী আকারে। কুড়িগ্রামেও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে বলেন,‘সুন্দর সুন্দর কথা বললেও করোনা মোকাবিলায় সরকারের কোন প্রস্তুতি না থাকায় করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা সুরক্ষা সামগ্রি বিতরণেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য খাত দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। এর সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজনই জড়িত। কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের বিএনপি’র পক্ষ থেকে সুরক্ষা সামগ্রি বিতরণকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস থাকা সত্বেও এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ফলে এখানকার মানুষ মঙ্গায় কষ্ট পায়। এ অঞ্চলের মানুষ এবারে দীর্ঘ সময় ধরে বন্যা মোকবিলা করলেও অসহায় বানভাসিদের জন্য সরকারের সহায়তা যথেষ্ট নয়। নদী শাসন, খনন, বাঁধ রক্ষায় নজর না দেয়ায় এ জনপদে ফি-বছরের বন্যায় ও নদী ভাঙ্গনে মানুষ নি:স্ব থেকে নি:স্ব হচ্ছে। বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। কুড়িগ্রামকে সর্বগ্রাসী বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যে সমন্বিত প্রচেষ্টা তা সরকারের দিক থেকেআমরা পাচ্ছি না। সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিচ্ছে না।
এ জেলার মানুষ দীর্ঘ দিন মঙ্গা, দুর্ভিক্ষের কথা ছোট বেলা থেকেই এসব শুনে আসছি। এসব মোকাবেলায় যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিচ্ছে না সরকার। নদীকে বাঁচাতে নদনদীর ভড়াট হওয়া তলদেশ ক্ষনন, তীর রক্ষায় বাঁধ দেয়া দরকার। এসব উন্নয়নের কথা সরকার মুখে আছে, কাজে নাই। আমি বলবো সরকার উন্নয়নের কথা মুখে না বলে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেলার মানুষকে বাঁচাতে বন্যা, নদী ভাঙ্গন ও দরিদ্র বিমোচনে দ্রুত সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহন।
এরআগে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট রেহেনা খানম বিউটির মৃত্যুতে তার কুড়িগ্রামস্থ বাসভবণে শোক সন্তপ্ত পরিবারে সমবেদনা জানাতে যান। পরে মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সাংবাদিকদের উদ্যোশে সুরক্ষা সামগ্রি বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সহ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব, ব্যারিস্টার রবিউল আলম সৈকত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এক হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ৪৫টি পিপিই, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হয়।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম। এ কারনে ঈদের পর ব্যক্তিগত তিন দিনের সফরে তিনি গত রাতে কুড়িগ্রাম পৌছেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..