আনোয়ার হোসেন আন্নু, বিশেষ প্রতিনিধি :
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এমন একটি জায়গা যেখানে পা রাখলে স্মৃতি কাতরতায় নিমজ্জিত হন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান এমপি। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটা জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই লাখ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উদ্বোধন হয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, “সরকারি চিকিৎসক হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৬ অক্টোবর চাকরি জীবনের তৃতীয় কর্মস্থল হিসেবে বদলি হয়ে আসি এই সাভারে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়ে আমার লক্ষ্যই ছিলো এই হাসপাতালের অচলায়তন ভেঙে চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের আরো নিবিড়ে পৌঁছে দেয়া তারপরের ইতিহাস আপনাদের সকলের জানা। আসলে আদর্শ আর সততা থাকলে মহান আল্লাহ মানুষকে যথার্থ স্থানে পৌঁছে দিতে কার্পণ্য করেন না।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে এসে বার বার স্মৃতির আয়নায় দেখছি নিজেকে। সময় কত বহমান। কত স্মৃতি আমি বয়ে বেড়াচ্ছি এই হাসপাতাল ঘিরে – তা সম্ভবত এই হাসপাতালের ইট কাঠ ও বোঝে।
৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সি আপনার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান। সুস্থ্যতাই হোক আপনার জীবনের চলার পথের সঙ্গী।”
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল সাহাবুদ্দিন খান, সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাজহারুল ইসলাম প্রমুখসহ অন্যরা।
জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকা কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, আজকের ক্যাম্পেইনে আমরা ৬ মাস বয়স থেকে শুরু করে ৫৯ মাস বয়সের মোট ১ লক্ষ ৯১ হাজার ১৬৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছিলাম এবং এই লক্ষ্যমাত্রা আমরা পূরণ করতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে শুধু যে রাতকানা রোগ থেকেই নয়, এই ক্যাপসুল শিশুদের আরো বহু উপকার করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ সার্বিকভাবে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। আমাদের দেশে সরকারিভাবে শিশুদের প্রতি বছর দু’বার এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।