ডেস্কঃ
লকডাউনের পড়ে কর্মহারা লোকজনের মাঝে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে । দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো কক্সবাজারের মহেশখালীতেও এ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন । তবে এবার নতুন করে ১৮ হাজার লোকজনের মাঝে নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা দিতে তালিকা প্রনয়ণের কাজ ইতি মধ্যে সম্পন্ন করেছেন স্ব – স্ব ইউনিয়ন পরিষদ । তবে অভিযোগ উঠেছে এ তালিকা প্রয়ণয়ন করতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রকৃত পাওয়ার উপযোগী অনেকের এ তালিকায় আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেন নি। ফলে এ তালিকা নিয়ে পুরো মহেশখালীতে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। করোনায় সারা বিশ্ব আজ বিধস্ত । জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে কর্মহারা লোকজনের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লোকজনরে মাঝে বিভিন্ন ভাবে নগদ টাকাসহ আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন । দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো দরিয়া নগর কক্সবাজার জেলার সাগর ও নদীঘেরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালীতেও চলছে এ সহায়তা । যারা অতীতে সরকারী প্রচলিত সুবিধা পাইনি এমন অসহায় ১৮ হাজার লোকজনের মাঝে নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ প্রকল্পের সম্পুর্ন অর্থ যোগান দিচ্ছেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ( ডাব্লিউ . এফ.পি) । তবে তা বাস্তবায়ন করবেন রিক নামে একটি এনজিও সংস্থা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে এ তালিকা প্রয়ণয়ণের জন্য স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । এ দায়িত্ব পাওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতি মধ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করেছেন । তা বিতরণের অপেক্ষায় । কিন্তু এসব তালিকা দেখে অনেকে হতবাগ। এলাকার সচেতন মহল জানান এ তালিকায় নাম এসেছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ ও ভিজিডিসহ সরকার থেকে প্রচলিত সুবিধা পাচ্ছেন তাদের নামও এ তালিকায় এসেছে অনেকের । আবার বহু ধনাঢ্য ও প্রবাসীর নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এমন কি যারা তালিকা তৈরী করেছে স্বজনপ্রীতি কিংবা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের তালিকা ভুক্ত করেছে বলে লোকের মুখে মুখে । এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার সময় জানা যায়, হোয়ানক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ শওকত ওসমানের নাম ২ বার , ৪নং ওয়ার্ডের রেশন কার্ডের সুবিধা ভোগী একই পরিবারের রিনা ঘোষ ও জলধর ঘোষ। কুতুবজুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বয়স্ক ভাতা সুবিধা ভোগী আনোয়ার পাশার পুত্র মোঃ জালাল, ভিজিডি সুবিধা ভোগী হারু মিয়ার পুত্র আবুল হোসেন , বয়স্ক ভাতা সুবিধা ভোগী মিয়া হোসেনের পুত্র মোঃ এনাম , বয়স্ক ভাতা সুবিধা ভোগী আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুল আজিজ। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের একই পরিবারের ছিদ্দিক আহমদ, মোঃ জাহাংগীর, গফুর আলম, সেতেরা বেগম । অপর দিকে একই পরিবারের আব্দুল গণি, আব্দুস ছোবাহান , তারেকুল ইসলামনও মোক্তার হোসেন। ৮নং ওয়ার্ডের বিধবা ভাতা সুবিধা ভোগী মৃত মমতাজ আহমদের স্ত্রী মোছেনা বেগম, নজর আলীর কন্যা সিরাজ খাতুন, মৃত আব্দুল খালেক এর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ এরকম শত শত লোকের নাম এ তালিকায় পাওয়া গেছে । এমন কি মহেশখালীর সব ইউনিয়নের অবস্থাও টিক একই রকম । এ তালিকা তদন্তপূর্বক সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যাছাই বাছাই করে প্রকৃত পাওয়ার উপযোগীদের তালিকা ভুক্ত করার দাবী উঠেছে সর্বত্রে ।