সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলা ছিল একসময়কার বিএনপির ঘাঁটি। অদক্ষ ও অযোগ্য নেতাকর্মী দের জন্য এখন বিএনপির সোনারগাঁয়ে ধ্বংসের পথে এসে দাঁড়িয়েছে । এক সময় সোনারগাঁয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোনারগাঁ উপজেলা থেকে অধ্যাপক রেজাউল করিম পরপর তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন । সাবেক এমপি অধ্যাপক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে একটি রাজনৈতিক সংগঠন। তার জনপ্রিয়তা এবং সুযোগ্য নেতৃত্বে জন্য সে উপজেলায় তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সোনারগাঁ বিএনপির প্রায় ধ্বংসের পথে এসে দাঁড়িয়েছে , কারণ হিসেবে সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক নেতাকর্মীরা বিএনপির বর্তমান সোনারগাঁ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দায়ী করছেন। তাদের ধারণা সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার পিছনে আজহারুল ইসলাম মান্নান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিগত সংসদ নির্বাচনে সে টাকার বিনিময় মনোনয়ন নিয়ে আসে কিন্তু তার জনপ্রিয়তা ও নেতাকর্মীদের অভাবে সে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। সোনারগাঁ বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান অধ্যাপক রেজাউল করিমের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন এবং বিপুল অর্থের বিনিময়ে তিনি উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বনে যান। তারপর বিভিন্ন সময় অর্থের বিনিময় কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ এর মাধ্যমে সে রাজনীতিতে টিকে থাকে। কিন্তু সংগঠনের দিক দিয়ে সে অনেক পিছিয়ে যায় কারণ হলো তার সাথে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা থাকে তারা তার বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করে থাকে তাই দলের প্রতি তাদের কোন মায়া নেই বলে জানান সোনারগাঁও উপজেলা সাধারণ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর অধ্যাপক রেজাউল করিম রাজনীতি থেকে অঘোষিতভাবে বিদায় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে সোনারগাঁয়ের অনেক নেতাকর্মী। অধ্যাপক রেজাউল করিমের বিদায় নেওয়ার দরুন তার নিজস্ব যে সমস্ত নেতাকর্মী ছিল তাদেরকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান তার দলে নিতে ব্যর্থ হন। কারণ হিসেবে সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ তপু বলেন মান্নান অশিক্ষিত নেতা তার ব্যবহার খারাপ এবং তারমধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা নেই । সে সবাইকে টাকার বিনিময় নিজের কর্মচারী বানিয়ে রাখতে চায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান বিগত আন্দোলন সংগ্রামের সময় সোনারগাঁ বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন কারণ হলো টাকার বিনিময় সবাই নেতা হয়েছেন কেউ তাই রাজপথে নামতে চায় না ।অন্যদিকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু জাফর নেতাকর্মীবিহীন নেতা হিসেবে পরিচয় পেয়েছেন সোনারগাঁয়ে। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ধারণা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অযোগ্য নেতৃত্তের দরুন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বর্তমান সোনারগাঁয়ের এমপি জনাব লিয়াকত হোসেন খোকার জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। তাই ভবিষ্যতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন তারা। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির এই করুণ দুর্দশা সম্পর্কে জানার জন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।