1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
স্কুল টিকিয়ে রাখতে সহকর্মীদের নিয়ে ফল বিক্রি করছেন অধ্যক্ষ
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্কুল টিকিয়ে রাখতে সহকর্মীদের নিয়ে ফল বিক্রি করছেন অধ্যক্ষ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০, ১২.২১ পিএম
  • ৩১৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের জেরে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। রাজধানীর ছোট-বড় স্কুলগুলোতেও ঝুলছে তালা। যে স্কুলগুলো হাসি-আনন্দে মুখরিত থাকতো, সেগুলো প্রায় চার মাস ধরে শিক্ষার্থীশূন্য। যাদের সামান্য বেতনই ছিল শিক্ষকের উপার্জন সেই শিক্ষার্থী হারিয়ে শিক্ষকরাও চলে গেছেন নানা দিকে। আবার অনেকে মৌসুমি ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আর রাজধানীর অলি-গলিতে দেখা যাচ্ছে স্কুল বিক্রির পোস্টার!

ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুল যার অন্যতম উদাহরণ। প্রায় ১৭ বছর ধরে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় স্কুলটিতে নিম্নবিত্ত সন্তানদের পড়াচ্ছিলেন তাকবীর আহমেদ। করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী নেই, কিন্তু খাড়া আছে ব্যয়ভার। কয়েক মাস পকেট থেকে খরচ চালানোর পর এবার স্কুল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তাকবীর আহমেদ বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এখন কী করবো বলেন? মানুষ সন্তানের লাশ ফেলে দেয় না?  এখন আমাকে সেটাই মনে করতে হচ্ছে। আমার সন্তান মারা গেছে!

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে বেতন পেতেন সেটা দিয়েই শিক্ষকদের সম্মানিসহ সব খরচ মিটিয়ে নিজের কাছে কিছু থাকতো বলে জানিয়েছেন তাকবীর। কিন্তু গত ৩-৪ মাস ধরে ভাড়াটাও দিতে হচ্ছে পকেট থেকে। করোনাকালে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। সামনের দিনগুলোর অনিশ্চয়তায় স্কুল বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি।

স্কুল বন্ধের কারণ প্রসঙ্গে তাকবীর বলেন, আমাদের স্কুলের যারা পড়েন, তাদের অভিবাবকরা সাধারণত গার্মেন্টস, বাসা-বাড়িতে কাজ করেন বা কেউ ড্রাইভার। আমি জানি কার কী অবস্থা। তাদের গিয়ে যদি বলি বেতনটা দেন, এর জন্য আমিই তো আমার বিবেকের কাছে বন্দী। এদিকে স্কুলের ভাড়া তো দিতে হবে, কারণ বাড়িওয়ালা ঋণ করে আমাকে বাড়ি করে দিয়েছেন।

রাজধানীর অলিতে গলিতে দেখা যাচ্ছে স্কুল বিক্রির পোস্টার!

রাজধানীর অলিতে গলিতে দেখা যাচ্ছে স্কুল বিক্রির পোস্টার!

রিনা আকতার নামের এক অভিবাবক বলেন, আমার দুই মেয়েই স্কুলটিতে পড়ে। এখন কোথায় পাঠাবো কিছুই বুঝতে পারছি না। এর চেয়ে বড় স্কুলে ভর্তি করানোর তো সামর্থ নেই আমাদের। এখন কিছু না কিছু তো কিছু করতেই হবে।

ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন বিক্রির বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে মোহাম্মদপুরের অলি-গলি। কিন্তু তদবির আহমেদ জানালেন, এত বিজ্ঞাপন দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। দুই-একজন ফোন দিলেও তারা স্রেফ দাম জেনেই ফোন কেটে দেন।

এমন বিপর্যয়ে রাজধানীর আরো অনেক কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলই বিপদে পড়েছে। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িভাড়ার পাশাপশি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো।

স্কুলের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সহকর্মীদের নিয়ে মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন ঢাকার আদাবরের পপুলার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ আমিনা বেগম তামান্না। তিনি বলেন, আমার প্রয়োজনে আমি রাস্তায় নেমেছি। আমি আমার প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে চাই। এমনকি আমাদেরও তো সন্তান আছে, তাদের মুখেও তো খাবার তুলে দিতে হবে।

বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় স্কুলের বিল্ডিংয়ে পরিবার নিয়ে উঠেছেন আমিনা বেগম তামান্না। তিনি বলেন, আমি স্কুল ভাড়াই জোগাড় করতে পারছি না, বাসা নিয়ে থাকবো কীভাবে। তাই একটা জায়গায় এসেছি, যাতে কিছুটা হলেও আমার সাশ্রয় হয়।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান জানান, তাদের কাছে আসা তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অন্তত ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আর বেশকিছু প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে আরো প্রায় শতাধিক স্কুল রয়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, রাজধানীর অধিকাংশ পরিবারের পক্ষেই তাদের সন্তানদেরকে নামিদামি স্কুলে পড়ানোর আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। তাই তাদের একমাত্র আশ্রয় গলির ভেতরে থাকা সাধারণ মানের ছোট ছোট স্কুলগুলো। সবমিলিয়ে কয়েক লাখ শিশু এসব স্কুলে লেখাপড়া করে থাকে। করোনার কারণে স্কুলগুলো যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হুমকির মুখে পড়বে এসব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews