আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
অনশন করে স্বামীর ঘরে এসেও নিস্তার পেল না গৃহবধু শান্তা। পাষন্ড স্বামী তাঁকে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা দিয়ে, গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দিয়ে, পিটিয়ে এবং মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে। এমনি নির্মম নির্যাতনের শিকার শান্তা এখন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি আছে।
জানা গেছে, যশোরের আবুল হোসেনের মেয়ে শান্তা একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। সে ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। সেলফি পরিবহনের সুপারভাইজার জহিরুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় শান্তার। প্রায় দেড় বছর আগে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শান্তা জহিরলের সাভারের গেন্ডার বাড়িতে এসে অনশন করে। সে সময় শান্তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ধামরাইয়ের ভাড়া বাসায় রাখেন জহিরুল। এরপর থেকে নিয়মিত চলে তার উপর শারীরিক নির্যাতন। পরে তার স্বামী জহিরুল ইসলাম গত সোমবার তাকে বাবার বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দেন। পরে সে যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনতে পারবে না জানালে রাতে তাকে মোবাইল ফোনে নামা গেন্ডা এলাকায় স্বামীর বাড়িতে ঢেকে নেন স্বামী জহিরুল ইসলাম। এসময় আগে থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই গার্মেন্টস শ্রমিক বাড়িতে আসার পরে স্বামী ও তার শশুর ও শাশুড়ি তাকে একটি রুমে আটকিয়ে রেখে জ¦লন্ত সিগারেটেরে ছ্যাঁকা ও গরম পানি দিয়ে সারা শরীর ঝলসে দেয়। এ সময় তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় ওই গার্মেন্টস শ্রমিককে নির্যাতনের পরে তিনি পানি খেতে চাইলে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেন তারা। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ওই গার্মেন্টস শ্রমিককে মারধরের বিষয়টি জানতে পারলে তাঁকে রাতেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চলছে তার চিকিৎসা ।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে পৃথক ঘটনায় সাভারের নামা গেন্ডা এলাকায় তিনজন ও ভাকুর্তার সোলাই মার্কেট এলাকায় দুইজনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।