শেখ শাহাউর রহমান বেলাল, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের বহির্বিভাগে এখন শিশু ও নবজাতক রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি রোগীর প্রায় ১৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।
সরেজমিন দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি শিশু ও নবজাতক রোগী শয্যাসংখ্যার দ্বিগুণ। এখানে গত ৭ দিনের ব্যবধানে চার শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শিশুর অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট কিংবা ঢাকায় ছুটছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একটি নেবুলাইজার দিয়ে প্রতিদিন দেড়শ রোগির চিকিৎসা চলে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে। আছে অক্সিজেন আর শিশু চিকিৎসক সংকট। এছাড়াও শিশু ওয়ার্ডে ৩৫ সীটের বিপরীতে রোগী থাকছে ২৫০-৩০০ জন। ফলে বাধ্য হয়েই সীট না পেয়ে মেঝেতে ঠাঁই হচ্ছে এসব শিশুদের।
শিশু রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ- শিশু ওয়ার্ডে একটি মাত্র নেবুলাইজার। শিশুর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে লাইন ধরে অক্সিজেন দিতে হয়। তাছাড়া ডাক্তারও নিয়মিত পাওয়া যায় না। সামর্থবানরা বাধ্য হয়েই প্রাইভেট হাসপাতালে চলে যান।
শিশু ওয়ার্ডের নার্সরা জানান- প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ৫০-৬০ জন শিশু। অথচ সীট রয়েছে মাত্র ৩৫টি। এছাড়াও জনবল কম থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ডাঃ কায়সার রহমান জানান- রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখানে চিকিৎসক সংকট নেই। রয়েছে ঔষধ, অক্সিজেনসহ সকল ধরণের সেবা।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশু ওয়ার্ডে নেবুলাইজার বিকল হলে পরিবর্তন করা হয়। কফ বের করার জন্যও রয়েছেন সাকার মেশিন। সেবার কমতি নেই হাসপাতালে।
Leave a Reply