তৌহিদুল ইসলাম সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হোসেনপুর উপজেলা শাখার জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক তাজউদ্দীন তাজে এর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ শে নভেম্বর (বুধবার) হোসেনপুর শ্রমিক লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত (মিষ্টিপট্টি) মোড় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে-
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা শাখার জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক তাজউদ্দিন তাজে এর নামে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে হোসেনপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের সকল সদস্য উপস্থিতির মাধ্যমে তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
প্রেসনোট সূত্রে জানা যায় হোসেনপুর থানার মামলা নং ০৪ তারিখ ১৭/১১/২০২১ ধারা ১৪৩,৩২৩,৩২৫,৩৫৪,৫০৬,৩০৭ পেনাল কোড রুজু করা হয়। উক্ত মামলার বাদী ছাড়িয়া পারভিন জেনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রানি করার জন্য শ্রমিক লীগ নেতা তাজ উদ্দিন তাজ এর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
হোসেনপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক,নজরুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন তাজ জড়িত ছিল না। তাকে ফাঁসানোর জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠে-পড়ে লেগেছে, মামলার বাদী একটি খারাপ প্রকৃতির মহিলা এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি তার ব্যাপারে হোসেনপুরে অধিকাংশ লোকই জানে। অনুতি বিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।
পরিশেষে শ্রমিকলীগ নেতা তাজউদ্দীন তাজ বলেন আমার উপর মিথ্যা মামলা জেনিরা করেছেন, সেই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি, আমরা জানি সাংবাদিক ভাইয়েরা একটি ক্ষুদ্র বালুকণা থেকে মুক্তা খুঁজে বের করতে পারেন।আপনারা সত্য ঘটনাকে উদঘাটন করতে পারেন। তাই আমি আপনাদেরকে ডেকেছি, আপনারা সত্যকে উদঘাটন করবেন। আমি কোনো অবস্থাতেই এই ঘটনার সাথে জড়িত না। ঘটনার তারিখ ৮-১১-২০২১ইং আনুমানিক ৯:ঘটিকায় সময় ছাড়িয়া পারভীন জেনি, মরহুম আব্দুল কাদির সাহেবের মেয়ে, চাচা হল মেয়র সাহেব, আমার শ্রমিক লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে বসা ছিল, এ অবস্থায় চাচা-ভাতিজির মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলো এক পর্যায়ে জেনি এখান থেকে চলে যায়। রাস্তায় যাইয়া কারো সাথে হয়তো তর্ক বিতর্ক হয়েছে, সেখানে আমি ছিলাম না এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা কে বা কাহারা হাত দিয়েছে কিনা আমি জানিনা। তৎক্ষণাৎ জানতে পারলাম যে, এখান থেকে যাওয়ার পর আমার ওপর মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে, আমি তার গায়ে হাত দেই নাই, মারি নাই, তার জামাতা কেও মারি নাই,এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক নাটক তৈরি করেছে, এ নাটকে আরো অনেকে জড়িত রয়েছে, তাদের নাম বলবো না, প্রশাসনকে চাপ দিয়ে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, আমার জাতীয় শ্রমিক লীগ কে প্রতিপন্ন করার জন্য এ ষড়যন্ত্র । তিনি আরো বলেন হোসেনপুরের মধ্যে আমি একজন ব্যবসায়ী শান্তশিষ্ট ভাবে ব্যবসা করে আসছি, রাজনীতিতে আমি সম্পৃক্ত আছি, রাজনীতিতে আমার জীবনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই। আমি কারো উপরে হাত তুলি নাই, মারি নাই, আমার ওপরে কেন মিথ্যা মামলা করেছে, এজন্য আমি আপনাদের প্রতি, রাজনীতিক নেতাদের প্রতি, এলাকাবাসীর প্রতি, সকলের প্রতি দাবী আমারে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। জেনি মেয়েটি যেন এভাবে আর কারো মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে না পারে, সকলের প্রতি আকুল আবেদন তিনি আরো বলেন শ্রমিকলীগ ভাইয়েরা আমার সাথে যারা এ মামলায় জড়িত আছেন, সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমরা সকলেই এই মামলায় নির্দোষ অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার চাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের হোসেনপুর উপজেলা শাখার সকল সদস্য বৃন্দ।