1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
৩২ বছর ধরে ভ্যানের চাকা ঘুরালেও  ঘুরেনি তার  ভাগ্যের চাকা! 
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ নিয়োগে বৈধতা না থাকলেও,জাহিনুর বেগমের দাবী তিনি প্রধান শিক্ষক  তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্ররা লোহাগড়ায় দুই ভাই হত্যার ঘটনায় আসামি ২৯ কারাগারে সাভারের সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

৩২ বছর ধরে ভ্যানের চাকা ঘুরালেও  ঘুরেনি তার  ভাগ্যের চাকা! 

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১২.২২ পিএম
  • ১৫৪ বার পঠিত
রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
সকাল বিকাল প্যাডেল মারি,ঝড়ে কত ঘাম।সভ্যতাকে টেনে বেড়ায়,পায়না কোনো দাম।লাঞ্চনা-বঞ্চনা সহে,ছুটি চলি যাত্রী নিয়ে! শুনবো এক ভ্যান চালকের জীবন কাহিনী” নাম মুনিশ চন্দ্র রায় নটে। হাটিহাটি পা-পা করে ৫৫ এর ঘরে পা দিয়েছে বয়স।যে বয়সে একজন মানুষ আরাম আয়েশ করবে।নাতি নাতনির সাথে হাসি তামাশা আর আড্ডাই মেতে থাকার কথা।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বয়সের ভারত্ব নিয়ে দারিদ্রতার কাছে হার মেনে প্রতিদিন ভ্যানের প্যাডেল ঘুরিয়ে নিজের ও পরিবারের অন্ন যোগাতে হয়।এই বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান চালতে চাইলেও চালাতে পারে না মুনিশ ।তবুও নিত্য দিনের প্রয়োজন মেটাতে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বেড়োতে হয় দুটি টাকার জন্য।
এ সময় কচ্ছপ গতির যানবাহন গুলোকে করা যুগের প্রয়োজন অনুসারে আধুনিক করা হয়েছে।সংযোগ করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। ভ্যান গাড়ি গুলোতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।এখন শরীর খাটিয়ে পা দিয়ে প্যাডেল মারে চালানো লাগেনা ভ্যান। অর্থাৎ  অটো ভ্যানের প্রচলণ শুরু হয়েছে।আর যাত্রীরাও অল্প সময়ে অধিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করে অটোভ্যান গুলো। কিন্তু আধুনিকতায়ও ফাটল ধরেছে মুনিশ চন্দ্রর জীবনে।
যুগের পরিবর্তন হলেও,আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে বদলায়নি  মুনিশ এর জীবনে। ফলে যুগোপযোগী ভ্যান না থাকায় কচ্ছপ গতির পায়ে চালিত গাড়ীতে কয়েকজন শখ করে ছাড়া কেউ উঠেনা বাড়ি উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের তালুক শাখাতী গ্রামে। তার পিতার নাম মহেশ চন্দ্র রায়।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ  উপজেলাধীন চামটাহাট এলাকার বিভিন্ন  রাস্তায় ভ্যান চালান। দিনে একশত থেকে দেড়শত টাকা আয় করেন তিনি।এদিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চালিয়ে নিতে হয় মুশকিল।তিনি বলেন প্রতিদিন ভ্যান চালাতে পারিনা,বৃদ্ধ বয়সে কখনও অসুস্থ থাকি কখনও আবহওয়া খারাপ থাকে আবার কোনো দিন ভাড়ায় হয়না।
আধুনিক যুগে সব ক্ষেত্রেই তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে।আর তার প্রভাব পড়েছে রিক্সা বা ভ্যান গাড়িতেও। বর্তমানে এলাকার সব ভ্যান গাড়িতেই মটর লাগানো।ফলে ভ্যান চালকের তেমন কষ্ট হয়না,কম সময়ে বেশি ভাড়া পাওয়া যায়।এখন মানুষ সময়ের দাম দিতে শিখেছে তাই সবাই অটো ভ্যানে যাতাযাত করে,মালামাল বহন করে।
কিন্তু দারিদ্রতার অভিশাপের অভিশাপ্ত হয়ে অর্থের অভাবে এখনও ভ্যানে মটর লাগাতে পারিনী।ফলে সাধারন জনগন আমার ভ্যানে উঠতে চায় না বা মালামাল বহন করে নিতে চায় না।
মুনিশ বলেন, যদি স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী বা জেলা প্রশাসক বা ইউএনও সহ কেউ যদি আর্থিক সাহায্য করত তাহলে ভ্যানে মটর লাগিয়ে। এই বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান চালিয়ে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে নিতাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews