নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজ কোনোভাবেই কেজি প্রতি ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব না।
তিনি বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে এই ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ টাকা। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের নির্ভরতা বেড়েছে। এখন তাদের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত আগে থেকে আমাদের কিছু বলেনি, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই গতবার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ায় তেমন অস্থিরতা হয়নি।
ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ প্রিন্ট মিডিয়ায় ৯ ক্যাটাগরিতে নয়জন এবং টেলিভিশনের ছয় ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ মোট ১৫ জন প্রতিবেদককে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কে ফয়সাল বিন সিরাজ, রয়টার্সের সাবেক বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।