শহিদুল ইসলাম সোহেল,স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের শাবনুর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আটককৃত প্রেমিক খালেক।পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে সে জানায়, অন্য ছেলের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার অপরাধেই হত্যা করা হয় শাবনুর কে।গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে শাবনুর আক্তার খাদিজাকে বিয়ে করার কথা ছিল আব্দুল খালেকের। কিন্তু ওইদিন শাবনুর আদালতে না গিয়ে অন্য ছেলের সাথে ঘুরতে বের হয়।
এ খবর পরে জানতে পারে খালেক। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার কোন এক সময় শহরের সাহাপাড়ায় শাবনুরের ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খালেক নিজেই হত্যা করে প্রেমিকা শাবনুর আক্তার খাদিজা কে।
শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তারকৃত খালেক স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে শাবনুর আক্তার খাদিজার (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে শনিবার ভোরে সদর উপজেলার করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘাতক আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করে।
সে শহরের কাগমারা এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। নিহত শাবনুর দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে খালেক সাহাপাড়ায় শাবনুরের ভাড়া বাসার ঘর বন্ধ করে চলে যান।এসময় পাশের ভাড়াটিয়াকে আব্দুল খালেক জানান,শাবনুর ঘুমাচ্ছে,সে জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছে। সারাদিন যাওয়ার পরও শাবনুরের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে আশপাশের মানুষের সন্দেহ হয়। তারা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশকে ঘটনা জানায়।
পরে কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে পুলিশ রাত ১০টার দিকে শাবনুরের লাশ উদ্ধার করে পুলি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy