খরস্রোতা পদ্মা নদী বিধৌত জেলা রাজবাড়ী। আদর করে মানুষ এই জেলাকে “পদ্মা কন্যা রাজবাড়ী” বলেও ডাকে। দেশের দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার ও পদ্মা-যমুনার অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা নীল-সাদা জলরাশির মিলনস্থল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা।রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কিংবা লঞ্চঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাটের দিকে তাকালে প্রথমে নজর কাড়বে নীল আর সাদা জলরাশির দ্বিখণ্ডিত অপরূপ সৌন্দর্য। সহসাই অনেকে মনে করবে এ যেন এক বিশাল জলরাশিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। রাজাবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তের দিকে নীল জলরাশি আর মানিকগঞ্জ জেলার দিকে সাদা জলরাশি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের যাত্রীরা প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকেন। অনেক ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আসে পদ্মাপাড় থেকে দাঁড়িয়ে থেকে প্রকৃতির এই নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। পদ্মা-যমুনার মিলনস্থানে আকাশের সাদা মেঘের গর্জনে পদ্মার রূপালী ইলিশ ধরা ডিঙি নৌকার তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা। সব মিলিয়ে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনার এই মিলন স্থান। পদ্মা-যমুনার মিলনস্থান দেখতে আসা দর্শণার্থীরা বলেন, অনেক পরীক্ষার সময় পদ্মা-যমুনার মিলনস্থান কোথায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেখান থেকে তৈরি আগ্রহ থেকেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে অপূর্ব এই নীল আর সাদা জলরাশি দেখতে আসা। দর্শণার্থীরা বলেন, ১৯৮৪ সালে ১মার্চ গোয়ালন্দ মহকুমাকে ভিত্তি করে রাজবাড়ী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারের উচিত পদ্মা-যমুনার মিলনস্থানকে ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা। শনিবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজবাড়ী জেলা সত্যিকার অর্থেই একটি কৃষিপ্রধান জেলা। পদ্মা পাড়ের ছোট এই জেলা অর্থনীতিতে প্রচণ্ড শক্তিশালী। গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনার মিলনমেলা সত্যিকার অর্থেই সবাইকে বিমোহিত করে। এই স্থানকে ঘিরে কোন কিছু করা যায় কিনা সে বিষয়ে ঊদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy