ইমাম হোসেন জীবন চট্টগ্রামঃ

দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন পাহাড়ের সাবেক গেরিলা নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদপর্যাদা) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

রাঙামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো নির্বাচন অফিসে এসে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য ছবি তোলাসহ সব পক্রিয়া শেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।

একই সাথে তিনি করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) এস্ট্রোজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।

জানা যায়, সন্তু লারমার জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, রাঙামাটি জেলার মহাপুরম এলাকায়। তার পিতার নাম মৃত চিত্ত কিশোর লারমা, মাতা মৃত সুভাষিনী দেওয়ান। বর্তমানে তার বয়স ৭৭ বছর। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় সরকারি বাসভবনে বসবাস করেন।

জনশ্রুতি আছে, আঞ্চলিক পারিষদের আইনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রণোয়নের দাবিতে দীর্ঘ দিন ভোটার হওয়া থেকে বিরত ছিলেন সন্তু লারমা। অংশগ্রহণ করেনি কোনো জাতীয় নির্বাচনের ভোটে। কিন্তু দাবিপূরণ না হলেও অবশেষে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের জন্য ছবি তুলেছেন সন্তু লারমা।

তবে, ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগা করার চেষ্টা করেও এই সম্পর্কে কারো কাছ থেকে কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) টিকা রেজিস্ট্রেশন করছেন এবং সশরীরে কেন্দ্রে এসে তিনি টিকাও গ্রহণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই যুগ পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করেছে তৎকালীন গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী। এ অবস্থায় পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে চুক্তির স্বাক্ষর হয়, যা পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি পায়।