কাজী মোতাহার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের অভয়নগরে অতি- দরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থান কর্মসুচী (ই,জি,পি,পি) প্রকল্পের কাজে চরম অনিয়ম ও শ্রমিকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলোন ও আত্নসাৎ’র অভিযোগ তুলে গত ২০ শে এপ্রিল (মঙ্গলবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ৫ নং শ্রীধরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ১,৪,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের অতি- দরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থান কর্মসূচী (ই,জি,পি,পি) প্রকল্পে ছয়টি ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন যাবত প্রকল্পের নাম মাত্র কয়েক জন শ্রমিক কাজ করে তবে ইউপি সদস্যগণ সকল শ্রমিকদের নাম হাজিরা খাতায় উঠায় এবং অনুপস্থিত শ্রমিকদের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা আত্নসাৎ করে। প্রত্যেক পি. আই.সি এর আওতায় ২৫,৩০,৩৫ জন শ্রমিকের নামের তালিকা থাকলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭ – ১৫ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। তালিকা ভুক্তদের মধ্যে অনেকে জানেনা সে একজন শ্রমিক, তবে তার নামে ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তলোন হয়। গত চার বছরের বেশি সময় ধরে ইউপি সদস্যগন অনিয়ম- দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে আসছে যা ই,জি,পি,পি প্রকল্পের নিয়ম বহির্ভূত। প্রকল্পের কাজে নাম থাকা কয়েকজন বলেন, প্রকল্পের কাজে আমাদের নাম আছে তা আমরা জানিনা। আমাদের নামে টাকা জমা হয়, উত্তলোনও হয় সেটা আমরা আমাদের মোবাইলে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানতে পারি তবে টাকা উত্তলোনের সময় আমাদের কোন স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে টাকা উত্তলোন হয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এ টাকা আত্মসাৎ ‘র পেছনে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখার ম্যানেজার তাপস বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়া এ বিষয়ে বলতে পারবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মোঃ রিজিবুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারনে প্রকল্পের কাজটি বন্ধ আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইননুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply