জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার। সারা বছর অরক্ষিত থাকা শহীদ মিনারটি ভাষার মাসেও অবহেলায় আর অযত্নে পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের চারপাশে দেয়া রেলিং ভেঙে আছে। সিড়িতে ধুলা বালি, টাইলস নষ্ট, মিনারের চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় গাছও হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। নতুন ক্যাম্পাসে তারা নতুন শহীদ মিনার স্থাপন করবে।
শহীদ মিনারের পাশেই রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ রফিক ভবন। রফিক ভবন থেকে মিনারের দিকে তাকালে প্রাণ ভরে যায়৷ কিন্তু যেই মিনারে সাদা রং দেয়া আছে তা নষ্ট হয়ে এখন কালো হয়ে গেছে৷ যা দেখতে এখন আর ভালো দেখায় না।
বিগত সালের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসের ২-১ দিন আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় শহীদ মিনারটি৷ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনারটি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে এর প্রতি অনেকেরই শ্রদ্ধা কমে যাবে। শহীদের স্মরণে একদিন ফুল দেয়ার জন্যই যেনো এর অবস্থান না হয় সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। ভাষার মাসেও অযত্নে থাকা শহীদ মিনারটির নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
শহীদ মিনারটির এ অবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলী নোমান বলেন, শহীদরা হলেন আমাদের গর্ব। তাদের স্মরণে নির্মিত এই স্তম্ভ অযত্নে রাখা খুবই লজ্জার বিষয়। আমরা চাই সবসময় যেন শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাস পরিবেশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়৷
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘এই বিষয়টা আমার দায়িত্বে নয়৷ এটা হলো এস্টেট দপ্তরের দায়িত্ব। তারপর আমি এই ইস্যুটি নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দপ্তর এবং রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সাথে কথা বলবো৷’
অযত্নে অবহেলায় থাকা জবির শহীদ মিনারটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা খুব দ্রুতই পরিষ্কার করবো৷ এটা আসলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দপ্তরের দায়িত্ব। তারপরও আমি একজন প্রক্টর হিসেবে নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করবো৷’
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..