নদী রক্ষার নামে অর্থ লোপাটের শংঙ্কায় সরকার ভরা বর্ষায় তদন্ত ছাড়া ভাঙ্গন রোধ কাজ করতে চায় না মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন রোধে সরকার উদ্যোগ নিলেও দেখা যায় একটি বস্তা না ফেলেও দেখানো হয় ৪০ হাজার বস্তার কাজ। ফলে তদন্ত ছাড়া সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করতে চায় না। আর তদন্ত কমিটির আসা-যাওয়ায় যে সময় লাগে তাতে নদী ভাঙ্গন-বন্যা মানুষকে নিঃস্ব করে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলীতে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রাঙ্গা বলেন, এবারের বন্যা-ভাঙ্গনে গঙ্গাচড়ার ৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে লহ্মীটারীর ইউনিয়নের চর শংকরদহ বিলীন হয়ে গেছে। আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে তিস্তা নদী সঠিকভাবে খনন করার দাবী জানাচ্ছি। কিন্তু বিশালাকৃতির ড্রেজিং মেশিন রংপুরে নিয়ে এসে নদী খনন কঠিন কাজ, যদিও চায়নাতে ছোট ছোট ড্রেজার মেশিন পাওয়া যায়। সরকার চাইলে সঠিকভাবে নদী খনন করে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে পারে। এসময় তিনি তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া চর শংকদহ গ্রাম এবং তিস্তার পানির ¯্রােতে সড়ক ভেঙ্গে প্লাবিত পশ্চিম ইচলী পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, গঙ্গাচড়া মডের থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার, রাঙ্গা কন্যা মালিহা তাসনিম জুঁই, লহ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদীসহ অন্যরা।