1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
অসহায়  ভাতা ভোগী  ভাতার টাকা অন্যের মোবাইলে 
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অসহায়  ভাতা ভোগী  ভাতার টাকা অন্যের মোবাইলে 

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ৯.৪২ এএম
  • ৩১৯ বার পঠিত
অসহায়  ভাতা ভোগী  ভাতার টাকা অন্যের মোবাইলে
নেএকোনার মদনে  নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এজেন্টদের উদাসীনতায় নম্বর ভুল এন্ট্রির কারণে প্রায় দুইশতাধিক ভাতাভোগীদের টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইলে। এ নিয়ে প্রতিদিন  মদন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।বসাইটে নিজের নামের পাশে অন্যের নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর এমন অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার সমাজসেবা অফিস ও নগদ এজেন্ট প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। দূরদূরান্ত থেকে ভাতাভোগীরা সমাজসেবা অফিসে আসলেও টাকা ফেরত পাবে কিনা এর কোন সুরাহা করতে পারছেন না অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিস বলছে সুবিধাভোগীদের নগদ অ্যাকাউন্ট নগদ এজেন্টের লোকজন করেছেন। এমনকি নিজের নম্বরটি ভুল করে দেয়ার কারণেই হয়তো এমন হয়েছে।
এতে পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রায় দুইশতাধিক বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও তালাকপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের ৬ মাসের ভাতার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে।
সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নে মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৮৯ জন। নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে ।
চুক্তি অনুযায়ী নগদ কোম্পানি এন্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরে ভাতাভোগীদের টাকা পাঠায়। কিন্তু নগদ কোম্পানির এজেন্ট এর লোকজনের উদাসীনতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ওয়েবসাইটে ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বর ভুল এন্ট্রি দেন। ফলে উপজেলার প্রায় দুইশতাধিক ভাতাভোগীর অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের ভাতার টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইল নম্বরে। তবে যে সকল মোবাইল নম্বরে টাকা গেছে সে সব নম্বর বন্ধ দেখাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী বাঘমারা গ্রামের শরিফা আক্তারের মা বলেন, আমার মেয়ে ভাতা পাওয়ার জন্য গ্রামীণ নম্বর দেয়, অফিসে এসে দেখি আমার মেয়ের ভাতা গেছে বাংলালিংক নম্বরে তাও আবার বন্ধ।
দক্ষিণ বালালী গ্রামের প্রতিবন্ধী সেকুল মিয়ার ভাই হানিফ মিয়া জানান, আমার ভাইসহ আরো দুই বাচ্চা প্রতিবন্ধী। তাদের টাকাও চলে গেছে আরেক জনের মোবাইলে। ফোন করলে বন্ধ পাই। কিভাবে এর সমাধান হবে তাও জানি না।
এদিকে বয়স্ক ভাতাভোগী কাইকুড়িয়া গ্রামের কল্পনা আক্তার, আব্দুল বারেক, উষারানী বিশ্বশর্মা ও কেশজানি গ্রামের আঙ্গুরা আক্তার জানান, আমরা যে অফিসে নম্বর দিছি এই নম্বরে কোন টাকা আইছে না। অফিসে আইয়া দেহি টাকা গেছে গা আরেক জনের মোবাইল নম্বরে। সরকারের দেয়া এই ভাতার উপর চাইয়া তাহি। অফিসে কয়েক দিন ধইরা আইতাছি কোন সমাধান হওইতাছে না। সামনে ঈদ ভাতা না পাইলে কেমনে ঈদ করব? যারার ভুলে এমনটা হইছে তারাই আমরারে টাকা দিতে হইবে।
তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহমেদ জানান, নগদ এজেন্ট নিয়োগ করেছে সমাজসেবা অফিস। এজেন্টরাই মূলত এমন কাজটি করেছে। আমার ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন ভাতাভোগীর এমন সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি সমাজসেবা অফিসে জানিয়েছি।
কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল জানান, এ কাজটি করেছে মূলত একটি চক্র। আমার ইউপি সচিবকে সমাজসেবা অফিসে পাঠিয়েছিলাম। অনেকের টাকা অন্যের মোবাইলে চলে গেছে বিষয়টি সমাধান করার জন্য সমাজসেবা অফিসকে অবগত করা হয়েছে।
ভাতা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহজামান আহমেদ বলেন, নগদের অফিসের লোকজন এমনটি করেছে। যে ভুল নম্বরগুলোতে টাকা গেছে কিন্তু বন্ধ রয়েছে ওই নম্বরগুলো পেরোল দেয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরত আসবে, দিতে পারব। আর যে নম্বরের টাকা উত্তোলন করেছে, সেটার কিছু করতে পারব না। এ নিয়ে প্রথম পর্যায়ে অনেক জটিলতা থাকবে। সারা দিন কাজ করছি। ভুলে যাদের টাকা চলে গেছে তাদের বিষয়টি নগদের অফিসে ও আমাদের নেত্রকোনা অফিসে প্রেরণ করেছি। দেখা যাক কি করা যায়।
মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, টাকা না পাওয়া কয়েকজন ভাতাভোগী আমার অফিসে এসেছিল। তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি কিভাবে সংশোধন করা যায় প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলব এবং নগদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সামাধানের চেষ্টা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews