আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হাটে দাঁড়াতে দেয় না, কঠোর অবস্থানের কারণে গরু বিক্রি করতে পারছেন না বিক্রেতারা !
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু কিনে বিপদে পড়েছেন গরুর বেপারী-পাইকাররা। এক হাট থেকে আরেক হাটে যাচ্ছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে হাটে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। হাট জমে ওঠার আগেই ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসছেন গরু নিয়ে।
কখনও কখনও পথেই কাটাচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। উলিপুরের গরু ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, ‘আইজ চাইর হাট থাকি গরু নিয়া ঘুরব্যার নাগছি। যে হাটে যাই দাবর (ধাওয়া) খায়া ফিরি আসি। হাটোত খাড়া হবার দেয় না। গরু বেচাই কেমন করি। এলা গরু কিনি ভালোই বিপদোত পরলোং।’
ফজলুল হকের সঙ্গে দেখা হয় গতকাল শনিবার দুপুরে রাজারহাট উপজেলার সিঙ্গেরডাবড়ি এলাকায় কুড়িগ্রাম-তিস্তা সড়কে। নছিমনযোগে তিনটি গরু নিয়ে উলিপুর থেকে যাচ্ছিলেন কাউনিয়ার টেপা মধুপুর হাটে। কিন্তু পথিমধ্যে ইজারাদারের ফোন পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান। এক লাইনে ১০টি নছিমন দাঁড়িয়ে রাস্তার ওপর। প্রায় ৫০টি গরু নিয়ে ২০-২৫জন বেপারি রাস্তার পাশে বসে আছেন ইজারাদারের ‘ক্লিয়ারেন্স’ পাওয়ার অপেক্ষায়।
উলিপুরের গুনাইগাছ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজামাল জানান, চর ও গ্রাম থেকে তারা গরুগুলো কিনেছেন লাভের আশায়। গত ৭ দিনে পর্যায়ক্রমে উলিপুর, দুর্গাপুর ও বড়বাড়ি হাটে গেছেন। সব জায়গায় হাট জমে ওঠার আগেই ধাওয়া খেয়ে চলে এসেছেন।
বেপারীরা জানান, নছিমন ভাড়া আর গরুর খাদ্য কিনতে বাড়তি খরচ জোগাতে গিয়ে গরুতে খরচ পড়ছে বেশি। অথচ দাম অনেক কমে গেছে। ক্রেতাই মিলছে না। ক্রেতার অপেক্ষায় দু-এক ঘণ্টা কাটাতেই হাট ভেঙে যাচ্ছে। এখন লাভ তো দূরের কথা কত লোকসান হয় তা নিয়েই চিন্তিত সবাই। এ অবস্থায় ঈদের আনন্দ বরবাদ গবার জোড়ার বেপারীদের।
গরুর বেপারী এনামুল, শফিকুল, মোকলেছারসহ সবার দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে গরু বেচা-কেনা করার সুযোগও দেয়া হোক। তা না হলে তারা চরম ক্ষতিতে পড়বেন।
অবশ্য কুড়িগ্রামের প্রশাসন বলছে ভিন্ন কথা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় যাবে। গরু যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে গরু-কেনা বেচায় কোনো বাধা নেই। হাট সম্প্রসারণ করে বেচাকেনার জন্য ২৬টি গরুর হাটে ইজারাদারদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy