আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মা আইভী রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন আইভী রহমান। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অকুতভয় এ নারী নেত্রী আইভি রহমান।প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
এ উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা আইভী রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।এছাড়া বাদ আছর পরিবারের পক্ষ থেকে আইভী কনকর্ড টাওয়ারে (বাড়ি-২২, সড়ক-১০৮, গুলশান-২, ঢাকা) মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শরিক হওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য ,আইভী রহমান ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চণ্ডীবের গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভী ছিলেন পঞ্চম। তার পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভী। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হলে নামের পরে ‘রহমান’ যুক্ত হয়। এ নামেই তিনি পরিচিতি পান দেশব্যাপী। শুধু আওয়ামী রাজনীতির জন্য নয়, আইভী রহমান বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে পারিবারিকভাবেও জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার খালাশাশুড়ি। একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, দুই মেয়ে তানিয়া বখত ও তনিমা রহমান।
একসময়ের ছাত্রলীগের প্রথমসারির নেত্রী আইভী রহমান ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। রাজনীতি ছাড়াও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এবং সমাজের অবহেলিত শিশু, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..