দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য ৩০০টি আসনে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগের বহু প্রত্যাশিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।লটারি জেতার মতো যাঁরা আওয়ামী লীগের টিকিটে বাগাতে সক্ষম হয়েছেন, তাঁদেরকে সৌভাগ্যবানই বলতে হবে।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় থেকে ঢাকায় সারাদেশের নির্বাচনী পাখিরা ঢাকায় গিয়ে ভিড় করেন এবং নিজ নিজ পরিচয় ও সূত্রের মাধ্যমে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চালান। ঢাকার হোটেলগুলিতে কোন জায়গা ছিলো না এবং রেস্তোরাঁয়ও খাবারের টান পড়েছিলো। এই ক’দিন ঢাকার আকাশে শুধু টাকা উড়েছে। প্রতিবছরই নির্বাচনের পূর্বে মনোনয়নকালিন সময়ে এমনটা হয়। এবারও হয়েছে। এটা এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের টিকিটের দামই সবচেয়ে বেশি। কারণ সবার ধারণা কত তিন টার্ম যেমন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতা বজায় রেখেছে, তেমনি এবারও ভোটের বাজারে আওয়ামী লীগের টিকিট চড়া দরে বিক্রি হয়েছে বলে জোর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, তাই আওয়ামী লীগের প্রার্থিতার মূল্য অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩টি আসনে যাঁদের ভাগ্য আওয়ামী লীগের টিকিটের শিকে ছিঁড়েছে, তাঁরা হচ্ছেন-চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পুত্র মাহবুবুর রহমান রোহেল, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মরহুম রফিকুল আনোয়ারের কন্যা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে দ্বীপবন্ধু মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে সাবেক এমপি এবিএম আবুল কাশেম মাস্টারের পুত্র এসএম মামুন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ (আংশিক)) আসনে নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) : আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আবু মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
কক্সবাজারকক্সবাজার জেলায় যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁদের নাম উল্লেখ করা হলো—কক্সবাজার-১ (চকরিয়া) আসনে সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী- কুতুবদিয়া) আসনে আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (রামু-কক্সবাজার সদর) আসনে সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আকতার।
৩ পার্বত্য জেলাপার্বত্য খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার এবং পার্বত্য বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এ তালিকা ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যাবে গতবার যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বললেই চলে। শুধু চট্টগ্রাম জেলায় ৪টি- মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি এবং পটিয়া; কক্সবাজারে চকরিয়ায় নতুন মুখ এসেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন-দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, জোটের হিসেবে নয়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির চাপে আওয়ামী লীগকে যদি জোট গঠনের কথা ভাবতে হয়, তাহলে এই প্রার্থী তালিকায় কিছু রদবদল হতে পারে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy