প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২২, ২০২৫, ৯:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১০, ২০২১, ১১:২৩ এ.এম
আক্কেলপুরে তহশিলদারের নাম ভাঙ্গিয়ে ফসলি জমিতে মাটি কাটার অভিযোগ”সংবাদ প্রকাশের পরেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটার মহোৎসব
নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জমিতে প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না" এমন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চকমৌহুতুর গ্রামের মুকুল হোসেন ওই ইউপি"র তহশিলদারের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন দ্বারা পাশাপাশি তিনটি পুকুর খনন করছেন। আর সেইসব মাটি গুলো অবৈধ দ্রুত গতিতে চলা মেসি ট্রাক্টর দ্বারা বহন করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা সহ ইটভাটা গুলোতে মোটা অঙ্কে বিক্রয় করছেন।
এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে সরজমিনে গিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমিতে কিভাবে মাটি কাটছেন বিষয়টি জমির মালিক মুকুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার এই জমিতে ফসল না হওয়াই গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) হাসান আলীর পরামর্শে ও অনুমতি নিয়েই পুকুর খননের কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই উল্লেখিত জমিতে তিনটি পুকুর খনন করা হচ্ছে।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) হাসান আলীকে তার অফিসে না পাওয়া গেলেও তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার অভিযোগ অশিকার করে দৈনিক সূর্যোদয় কে বলেন, একমাত্র জেলা প্রশাসক ব্যথিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তাগণও এই মাটি কাটার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। সেখানে আমি একজন তহশিলদার হয়ে কিভাবে মাটি কাটার অনুমিত দিতে পারি। ওই জমির মালিক মুকুল হোসেন আমাকে ফাঁসানোর মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত তহশিলদার হাসান আলীর সাথে যোগাযোগের পর, জমির মালিক মুকুল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি যা বলেছি তাই সত্য পড়লে কি করবেন করেন আর আপনারা সাংবাদিকরা আসলে কি-? পেয়েছেন বলে রাগান্বিত হয়ে উচ্চস্বরে কালক্ষেপণ করে তিনি সাংবাদিকের কলটি কেটে দেন।
আক্কেলপুর উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমিতে মাটি কাটার তিনটি সংবাদ জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে। সংবাদ গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএস হাবিবুল হাসানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি দৈনিক সূর্যোদয় কে বলেছিলেন যে এই উপজেলায় আর কেউ ফসলি জমিতে মাটি কাটছেন না যারা মাটি কেটেছে তাদরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরো বলেছিলেন এই উপজেলায় যদি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যদি ফসলি জমিতে মাটি কাটে তবে তার বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাহী অফিসের এমন কথার পর এবং বারবার সংবাদ প্রকাশের পরেও অবাধে চলছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy