শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া
আজ ২০ শে জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে ছাত্রনেতা আসাদ পাকিস্তানি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের ১১ দফা দাবির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
২৪শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ৬ দফা ছাত্রদের ১১ দফা ভিত্তিতে বাংলার জনগণ আবাল বৃদ্ধ বনিতা রাজপথে নেমে আসে। বাঙালি জাতি সেদিনও জেগে উঠেছিল। তারপর বাংলার অত্যাচারী সরকার আইয়ুব খান ও পালা বদলে আবার এলো স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান অবশ্য ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। হাজার ১৯৬৯ সালে সেখানেই ইতি।
তারপর১৯৭০ সালের সেই বাংলার জনগণের প্রাণের দাবির বহিপ্রকাশ নিরুঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্ঠতার জয় লাভ করে। কিন্তু বিশ্বে বরাবরই লোভীরা শাসন-শোষণ করে গড়ীব অসহায় দেশগুলোর উপরে,তাই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়তে নিরঙ্কুশ ভোটে জয় লাভ করার পরেও তৎকালীন পাকিস্তানের ক্ষমতাশীল সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করতে শুরু করে তাল বাহানা।
কিন্তু তখন বাঙালি বুজে গিয়েছিল “বাঁচতে হলে লড়াই চাই লড়াই ছাড়া গতি নাই।১৯৬৯ সালের সেই আন্দোলনের রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু হলো একাত্তরের যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ।
সেই আসাদের আত্মত্যাগের স্মৃতি স্মরণ করে পর্যায়ক্রমে অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করে সব শ্রেণীর পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। সেই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার রুপ নেয়।
তাই আজ শহীদ আসাদ স্মরণে বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ে পালন করা হবে শহীদ আসাদ দিবস।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা, তারপর আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজকের এই দিন “শহীদ আসাদ দিবস”