শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
যার জন্ম আছে তার মৃত্যু আছে এটাই চিরসত্য। তবেই মানব জীবনটা স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাই সকল মানুষই চায় হাজারো দুঃখ কষ্ট অসুস্থ বেদনাকেই নিয়ে বেঁচে থাকতে,সুখ নামের সেই সোনার হরিণ সবার কাছে তো ধরা দেয় না তাইতো সবাই সুখের সন্ধানে লড়াই করে চলেছে। কখনো ক্ষুধা নিবারণের লড়াই কখনো বাঁচার লড়াই।সুন্দরী পৃথিবীটা বড়ই মায়াবী করে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকর্তা।
তাই এই মায়ায় জড়িয়ে থাকতে হলে সুস্থ থাকাটা একান্ত কাম্য। কারণ শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে পৃথিবীর সবকিছুই আনন্দময় এবং সুখকর। আর যদি আপনি অসুস্থ হন বা কোন শরীরে বড় রোগ বাসা বাধে তাহলে পৃথিবীর সবকিছুই আপনার কাছে যেন ভালো না লাগার কারণ হয়ে উঠবে!
পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক মহামারী ও অনেক বড় বড় রোগের সৃষ্টি হয়েছে। সব রোগে মানুষ সুস্থ হলেও ক্যান্সার নামের এক মরণব্যাধি আছে যার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৪ জানুয়ারি কে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
আর এই ৪ জানুয়ারি মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ক্যান্সার রোগ কি কিভাবে বিস্তার লাভ করে এবং তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য সমাজের সচেতন মূলক উপদেশ ও প্রতিকার।
তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (W H O) ৪ জানুয়ারি সচেতন মূলক ভাবে উপদেশ ও ক্যান্সার রোগীর জীবন ধারণের মান উন্নয়নের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ক্যান্সারের সহায়তা করে থাকে।
এই ক্যান্সার রোগে বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লক্ষ রোগী মারা যায়। প্রতিবছর বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ নতুন ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়। তুলনামূলক মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও জরায়ু মুখে ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে। মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের রুগি দিন দিন বেড়েই চলেছে । নারী ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যাও কম নয়।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে প্রতিবছর বাংলাদেশের দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৮ হাজার ক্যান্সারের রুগী প্রতিবছরই মারা যায়। যা নিরব মহামারী বলে বিবেচিত।
আসলে ক্যান্সারকে ভয় নয় জয় করতে হবে। মৃত্যু তো একদিন সবারই হবে তবে ভয়ে ভয়ে বা ধুকে ধুকে মৃত্যু নয় ক্যান্সার দিবসের এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে এই রোগকে ভয় না করে সচেতনতা মূলক ভাবে বেঁচে থাকা, হাসি আনন্দে বেঁচে থেকে সময়মত রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা গ্রহন করা।
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় কিছু ধাপ আছে।
প্রথম ধাপ দ্বিতীয় ধাপ তৃতীয় ধাপে এবং চতুর্থ ধাপ।
প্রথমেই যদি কারো ক্যান্সার ধরা পড়ে বা ভালো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় যে তার ক্যান্সারের সংক্রমণ হয়েছে তাহলে সুচিকিৎসা নিলে বা থেরাপি নিলে ক্যান্সার একেবারেই ভাল হয়ে যায়। তবে সেই রোগীকে নিয়মিত শারীরিক পর্যবেক্ষণ অর্থাৎ প্রতি বছরই একবার করে হলো শারীরিক পরিক্ষা নিরক্ষা করা যে তার শরীরে সংক্রমণ আছে কিনা।
এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা, একজন সাধারণ মানুষের শরীরে যদি কোন রোগ বাসা বাঁধে তবে তার প্রতিকার স্বরূপ চেকআপ করে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু কোন রোগকে ছোট হওয়া উচিত নয়। ছোট থেকেই বড় রোগের উৎপন্ন হয়। আর বড় রোগ গুলির মধ্যে একটি রোগ হচ্ছে ক্যান্সার।
ক্যান্সার বা টিউমার কেন হয়?
অধিকাংশ ক্যান্সার বা টিউমার কেন হয় তা এখনো জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু কারণের জন্য দায়ী বলে জানা গেছে।টিউটমার ক্যান্সারের কারণ গুলো
বংশগত,জেনেটিক বাবা, মা,দাদা, দাদি এদের মধ্যে থাকলে তাদের সন্তানদের হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
৪ জানুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। তাই এ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারিভাবে এবং বিভিন্ন সংস্থা এই দিবসটি উপলক্ষে সচেতন মূলক রেলি আলোচনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy