জিহাদ হোসাইন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
আত্নহত্যা নয়,পরিকল্পিত হত্যা।ফাতেমা হত্যার ৪১দিনের মাথায় রায়পুর থানার পুলিশ আসামী মো: রায়হানকে গ্রেফতার করে গত ৩০ আগস্ট রোজ রবিবার।আসামী রায়হানকে গ্রেফতারের পরপরই পলাতক রয়েছে অন্যান্য আসামীরা।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গত ১৯ জুলাই ফাতেমার(২০) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই লাশ নামিয়ে রাখে আসামী পক্ষ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ফাতেমার মা হাসনা বেগম(৬০)ঢাকায় আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন কয়েকদিনের জন্যে।
এরই মধ্যে মোবাইলফোনে খবর পান ফাতেমা আত্নহত্যা করেছে।খবর পেয়ে ঘটনার পরদিন ফাতেমার মা হাসনা বেগম ছুটে আসেন নিজ বাড়িতে।৬০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা নিজের স্বামীকে হারিয়ে একদিকে যেমন দিশেহারা।অন্যদিকে ছোট মেয়ে ফাতেমাকে হারিয়ে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এদিকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় আসামীপক্ষের রায়হানের পরিবার।রায়পুর উপজেলাধীন ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়ির ফাতেমা আক্তার (২০)কে আনুমানিক বিকাল ৩ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে মাথায় আঘাত ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ফাতেমার মা হাসনা বেগম বলেন, আমি ফাতেমার মা।প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। ৬০ বছরে বয়সে আমি আমার মেয়ের লাশ দেখতে হবে এটা কখনো ভাবিনী।আমার মেয়ে পড়াশুনা করত।সব সময় নামাজ রোজা করত।আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন,আমার ফাতেমা হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাবস্থা করা হোক।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল জলিল মুঠোফোনে বলেন,থানায় আত্নহত্যা বলে অভিযোগ করা হলেও ময়নাতদন্তে হত্যা করা হয় বলে রিপোর্ট পাওয়া যায়।এবিষয়ে নিহতের মেজো বোন বৃষ্টি বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন।মামলার প্রধান আসামী মো: রায়হানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদলতে প্রেরন করেন।মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
মৃতের সেজো বোন স্মৃতি আক্তার(২৩)জানান,আমার বোন আত্নহত্যা করেনি।তাকে হত্যা করা হয়েছে।আমার বোনের মাথায় আগাত পাওয়া যায়।গলায় আগাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।দেশবাসীর কাছে এই হত্যার বিচার চাই।
থানায় হত্যা মামলা করা পরপরই আসামী পক্ষের স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা মৃত ফাতেমার পরিবারকে নানানভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।তারা এখন নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে সাংবাদিক ও পুলিশের কড়া নজরদাড়িতে এই হত্যা মামলার আসল রহস্য উদঘাটন করা হয়।