প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ১:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৩, ২০২১, ২:২৮ এ.এম
আদমঘীঘির ইউএনওর দেহরক্ষী দুই আনসার সদস্য ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ- শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় লকডাউন উপেক্ষা করে দোকান খুলে রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে ইউএনওর দেহরক্ষী দুই আনসার সদস্য ও স্থানীয় কতিপয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এ সময় একজন ব্যবসায়ীকে মারধরও করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার চাঁপাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
মারধরের শিকার ব্যক্তির নাম আব্দুর রাজ্জাক জেমস তিনি চাঁপাপুর বাজারের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করেন। বিষয়টি নিয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগে জানা যায়, লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে তা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু হয়। ঘটনার দিন উপজেলার চাঁপাপুর বাজার এলাকায় দোকান খোলা হয়েছে এমন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দুই দেহরক্ষী (আনসার সদস্য) রাকিবুল ও হাফিজ স্থানীয় এক সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে ভয়ভীতি সৃষ্টি করেন।
এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা চাঁদা আদায় করেন। এসব কর্মকাণ্ডের ছবি তোলার জন্য ওই আনসার সদস্যরা স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে চড়থাপ্পর মারেন। অভিযোগ রয়েছে তাকে আনসার সদস্যরা বাজার থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তিন হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শনিবার সকালে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে ওমর ফারুক বস্ত্র বিতান থেকে ৫০০ টাকা এবং আতিকুল গার্মেন্টসের কাছে থেকে এক হাজার টাকা নেন ইউএনওর দেহরক্ষী ওই দুই আনসার সদস্য। এ সময় আমি সেখানে গেলে আনসার সদস্য রাকিবুল ছবি তোলার অভিযোগ এনে তাকে চর থাপ্পর মারেন। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে বাজার থেকে কিছু দুরে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে আমাকে জেল-জরিমানার ভয় দেখান। এক পর্যায়ে ৩ হাজার টাকা দাবি করলে আমি দিয়ে দেই। এরপর তারা আমাকে ছেড়ে দেন।’
তিনি আরও বলেন, এঘটনার পর বিষয়টি ইউএনও সীমা শারমিনকে জানাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সীমা শারমিন এর সাথে মুঠোফোনে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চাঁপাপুর এলাকায় বালু উত্তোলন ও দোকানপাট খোলা আছে কিনা সে সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে শুনেছি। যদি তারা কোন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা আদায় করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও আমার জানা মতো তারা এবিষয়ে একটি নাটক সাজিয়েছেন কেননা তারা অবৈধ বালু উত্তোলনকারী একটি চক্র। তবুও আমি সঠিক তদন্তের জন্য আদমঘীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ কে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত রিপোর্টের ভিক্তিতে যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই দিনের সিসি ক্যামেরার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy