আনোয়ারায় কলেজছাত্র আবদুল্লাহ আল মাসুম হত্যার মামলা গ্রহন ও আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আনোয়ারা থানা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নিহত মাসুমের পরিবার ও এলাকার কয়েক’শ সাধারণ জনগণ।
সোমবার(৪অক্টোবর) সকাল ১১টায় মিছিল পরবর্তি থানার সামনে কয়েক’শ নারী পুরুষের অবস্থানের কারনে প্রায় ২ঘন্টা ধরে বন্ধ ছিল যান চলাচল, ফলে আনোয়ারা-বরকল সড়কে থানা হতে মেডিকেল মোড় ও জয়কালি বাজার পর্যন্ত সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
পরে পুলিশী এ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ হয় জনতার অবস্থান কর্মসূ্চী।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নিহত মাসুমের ফুফু চেমন আরা বেগম সংবাদকর্মীদের বলেন তার ভাতিজাকে শনিবার রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার সহপাঠী দীপ্ত দত্ত ও অন্যান্যরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। মাসুমের বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুনও একই অভিযোগ করে বলেন শনিবার রাতে আমার ভাই খুন হয়েছে, রবিবার সকালে আমার বাবা মো.ইউসুফ সওঃ বাদি হয়ে দীপ্ত দত্তসহ ৪জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে থানা পুলিশ এই হত্যা মামলা নিতে গড়িমসি করে যাচ্ছে, আমাদের সন্দেহ পুলিশ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এস,এম,দিদারুল ইসলাম সিকদার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন শনিবার রাত ২টায় খবর পেয়ে ইছামতি এলাকা থেকে মাসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠনো হয়। ঘটনার স্থান ও সুরতহাল দেখে আমাদের প্রাথমিক ধারণা বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাসুমের মৃত্যু হতে পারে, যার দরুন এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই পরবর্তি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,গত শনিবার(২অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে আনোয়ারা সদরের বাসা থেকে বন্ধু দীপ্ত দত্তের সাথে বের হয় আবদুল্লাহ আল মাসুম(১৮)। রাত ২টার দিকে ইছামতি এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকাবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
নিহত মাসুম আনোয়ারা সদর ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.ইউছুফের ২য় পুত্র,সে আনোয়ারা সরকারি কলেজের ছাত্র এবং এবারের এইস,এস,সি পরীক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় পুরো আনোয়ারায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নিহত মাসুমের পরিবারের দাবী ও পুলিশের ভিন্নরকম বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চলছে নানা গুঞ্জন।