আমদানি করা চাল বাজারে আসার পরও বাড়ছে দাম। এতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কমে গেছে বিক্রি। দাম সহসা কমার কোনো ইঙ্গিতও নেই রাজধানীর পাইকারদের কাছে। লাগাম টানা যাচ্ছে না সয়াবিন তেলের দামেও। সপ্তাহের ব্যবধানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দামও।
চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে দেড় মাস আগে দেয়া হয় আমদানির অনুমতি কমানো হয় শুল্ক। বিদেশ থেকে দেশের বাজারে আসতেও শুরু করেছে সেই চাল। তারপরও কমেনি বরং দেশি চালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বাড়ছে আমদানি করা চালের দামও।
ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। এমনকি বিদেশি চাল বাজারে এলে দাম কমবে; এমন ধারণায় দ্রুত মজুত চাল আগেই বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।
তবে দাম বৃদ্ধির পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। এতে দৈনিক বাজারের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা।
এদিকে চালের অন্যতম মোকাম নওগাঁতেও চালের বাজার অস্থির। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ধানের সংকট থাকায় চালের দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। মোটা চালের তুলনায় সরু চালের দাম বেশি বেড়েছে। তবে এলসি করা চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। খুচরা বাজারে মোটা চাল স্বর্ণা- পাঁচ ৪৮ টাকা, বি আর আটাশ ৪৫ টাকা, জিরাশাল ৬৫ টাকা, কাটারি ৬৬ টাকা এবং মিনিকেট ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চাল কিনতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এ ছাড়া চালের বাজারের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম। এক সপ্তাহে প্রতি লিটারে বেড়েছে ১০টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার অর্ধেক তেলও সরবরাহ পাচ্ছেন না তারা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy