প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ২:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৭, ২০২১, ১০:২২ পি.এম
হাজী জসিম উদ্দিন
ইউনেস্কো স্বীকৃত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, রাজনৈতিক কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৭-ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদযাপন করেছে জাতীয় কবিতা মঞ্চ,
সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার,বাংলাদেশ সময় ১২. ১মি, আরব আমিরাত সময় -১০.১মি, দেশটির রাজধানী আবুূধাবী এক হল রুমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ রাজনীতির মহাকাব্যর শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি,বরেণ্য কবি মুহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ব্যাংকার ও কথা- সাহিত্যিক মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন একজন নিভৃতচারী বঙ্গবন্ধুপ্রেমি,
শিল্পপতি, মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি। বিশেষ আলোচক বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবী সহ-সভাপতি, আব্দুস সামাদ, আবুধাবি আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক,আক্তার হোসেন রাজু, ডাঃ শেখ শামসুর রহমান পিএইডি, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন,
জাতীয় কবিতা মঞ্চের উপদেষ্টা, আক্তার উদ্দিন পারভেজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি, কবি মির্জা মোহাম্মদ আলী, সভায় ভিডিও
টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ গ্রহন করেন আবুধাবি শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, শিক্ষা বিদ কাজী আব্দুর রহিম, কবি ও লেখক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সাইফ,
কবি ও অধ্যাপক জেবুন নাহার, কবি ও লেখক কবি, লেখক জানে আলম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট নারীনেত্রী শারমিন আক্তার জেলী, কবি রাহেনা জুলেকা,কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না।
আরো উপস্থিত ছিলেন কবি আরিফুল ইসলাম, কবি এয়াকুব আলী, কবি আরমান হোসেন সহ জাতীয় কবিতা মঞ্চে বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন একজন নিভৃতচারী বঙ্গবন্ধুপ্রেমি, শিল্পপতি, মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি তাঁর বক্তব্যে বলেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ৪৭ বছর আগে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রদত্ত সেই উপস্থিত বক্তব্য তৎকালীন সময়ে কেবল বাঙালিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়নি সম্প্রতি এই ভাষণ বিশ্বের কাছে এক অনন্য দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনেসকো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে মর্যাদা প্রদান আমাদের সকলের জন্য এক বিরল সম্মান বয়ে এনেছে।
বস্তুনিষ্ঠ ঐতিহাসিক সেই ভাষণে একদিকে যেমন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার নিপীড়ন উল্লেখিত হয় তেমনি মুক্তিকামী বাঙালির জন্য ভাষণটি ছিল দিকনির্দেশনার শামিল।
সকল বাধা উপেক্ষা করে মুক্তিকামী লাখো বাঙালি সেদিনের জনসভায় তাঁর নেতৃত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনার জন্যই উপস্থিত হয়েছিলেন।
আলোচকেরা বলেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধকালে সকলের জন্য উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
তাই আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মহান মুক্তিযুদ্ধে এই ভাষণের অবদান অপরিসীম।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় নেতৃত্ব, অপরিসীম আত্মত্যাগ, বিচক্ষণ দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা,
প্রগতিশীল মনোভাব, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলি প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারা ভাষণের পটভূমি ও বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলনে এর অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭-ই মার্চের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরে এক নৈশভোজ ও আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।