প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২০, ২০২৫, ৭:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২২, ২০২১, ৬:৫২ পি.এম
আর কত গরিব হলে সরকারী ঘর পাওয়ার কথা বললেন হাতীবান্ধার বৃদ্ধা আনোয়ারা
রাশেদুল আলম রুবেল,লালমনিরহাট প্রতিনিধি
স্বামীর দেয়া ১ শতক ও জামাইয়ের কেনা ২ শতকসহ মোট তিন শতক জমির উপর দুই পরিবারের বসবাস।
মেলে না কোন সরকারী ভাতার কার্ড।নেই কোন সরকারী অনুদান।লকডাউনের পরও খবর রাখেনি কেউ। আর কত গরিব হলে সরকারী ঘর পাওয়ার কথা জানালেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম।
বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের বাড়ি উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়া গ্রামের আমের উদ্দিনের স্ত্রী।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৩ শতক মাটিতে দুইটি ঘরে মেয়ে-জামাই এক ঘরে ও বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম ও স্বামী আমের উদ্দিন থাকেন জরাজীর্ণ অপর ঘরে।
বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম জানান,এখন পর্যন্ত কোন সরাকারী ত্রাণ পাইনি।স্বামী রিক্সা চালক আর আমি সারাদিন অন্যের বাসায় কাজ করে যেটুকু পাই তা দিয়ে চলে সংসার।ঘর ভাল করার টাকাও নাই।
হালকা বাতাসেও দোলে ঘর এমনি অবস্হা।ঝড় বৃষ্টি হলে খুব ভয় ভয়ে রাত কাটে যেন এই মনে ঘর ভেঙ্গে মাথায় পড়লো।আর লকডাউনে কেউ কাজে ডাকে না। খুব চিন্তায় কাটছে দিন।
বৃদ্ধার মেয়ে নজিমা বেগম জানান,আমার স্বামী রিক্সা চালক।আমি চাল কলে কাজ করি।কোন রকম টেনেটুনে চলে আমাদের সংসার।মায়ের ঘর ভাল করার মতো সামর্থ আমার স্বামীর নাই।আমার মা আর কতো গরিব হলে সরকারী ঘর পাবে।সরকারী ঘর আমার মায়ের হক।
এ বিষয়ে জানতে চাই অত্র ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আক্কেল হোসেন জানান, আনোয়ার বেগম আমার প্রতিবেশী।আসলেই অভাবের কারণে তাদের থাকার ঘরটি নরবরে অবস্থা।আনোয়ারা বেগমকে একটি সরকারী ঘর দিলে উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে সিংগীমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন,আপাততো গুচ্ছগ্রাম ছাড়া ব্যক্তি মালিকানা জমিতে কোন ঘর দেয় নাই।২০১৭ সালে ৩৫০ ঘরের তালিকা পাঠানো হয়েছেও বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy