ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ জুনের পর থেকে। ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্তের মৃত্যুর সূত্র ধরে বলিউডের নেপোটিজম তত্ত্ব হঠাৎ করেই সামনে এসে যায়। আলিয়ার প্রতি কর্ণের পক্ষপাতিত্ব, সুশান্তের গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে মহেশ ভট্টের বিশেষ বন্ধুত্বের বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেটাগরিকদের একাংশ।
এর পরেই ইনস্টাগ্রামসহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আলিয়া-কর্ণ-মহেশ সহ স্টারকিডদের উপর নেমে আসে জনতার ভার্চুয়াল আক্রমণ। আলিয়া এবং শাহিনকেও কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়, দেয়া হয় খুন এবং ধর্ষণের হুমকিও।
আলিয়া চুপ করে থাকলেও, মুখ খুলেছেন শাহিন। তিনি লেখেন, ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন মহিলা ধর্ষিত হন। ৭০ শতাংশ মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। সেখানে আমাদের উপর এরকম আক্রমণে আপনি বিস্মিত? আমি নই।
এখানেই থামেননি শাহিন। যারা ওই সব মেসেজ পাঠাচ্ছেন তাদের উদ্দেশে শাহিনের বক্তব্য, এর পরেও যদি এ রকম মেসেজ আমি পাই, তা হলে সবার আগে সেই ব্যক্তিকে ব্লক করে ইনস্টা কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করব। প্রয়োজনে সেই ব্যক্তির নামও প্রকাশ্যে আনব। আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করা কিন্তু কঠিন কিছু নয়। আইনি পথে হাঁটব আমি।